মোঃ ওয়াজেদ আলী ,স্টাফ রিপোর্টার:
যশোর সদর উপজেলা রামনগর ইউনিয়নের সতীঘাটা কামালপুর গ্রামের আব্দুল হানিফ এর মেয়ে প্রতিবন্ধী নুরুজাহান (৪৮) ও মৃত ওমর গাজীর ছেলে রেজাউল ইসলাম (৫০) পাগলা কুকুরের কামড়ে রক্তাক্ত জখমের স্বীকার হয়েছে। বুধবার ( ১৬ জুলাই) সকাল ৯ ঘটিকায় সময় নিজ বাড়ীতে কুকুরের কামড়ে এই রক্তাক্ত জখমের স্বীকার হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, সকালে নদী থেকে হাত-মুখ ধুয়ে বাড়ি ফিরছিলেন প্রতিবন্ধী নুরুজাহান। পথিমধ্যে একটি লাল রঙের পাগলা কুকুর এসে হঠাৎ তাকে আক্রমণ করে এবং পায়ে কামড় দেয়। মাটিতে পড়ে গেলে কুকুরটি আরও কয়েকবার তার শরীরে কামড়াতে থাকে। তার চিৎকারে পরিবারের লোকজন ছুটে এসে কুকুরটিকে তাড়ায়
পরে ওই কুকুরটি পাশের বাড়িতে গিয়ে রেজাউল ইসলামকে বাম পায়ে দুটি কামড় দেয়। এরপর বৃদ্ধা লায়লা বেগম( ৬৫)এবং অজ্ঞাত এক শিশু (৭) কুকুরের আক্রমণের শিকার হন।
এ সময় গ্রামবাসী ও যুবকেরা দৌড়ে এসে কুকুরটিকে ধাওয়া করে। তবে কিছুক্ষণ পর কুকুরটি গা ঢাকা দেয় এবং আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।
ঘটনার পর পরই প্রতিবন্ধী নুরুজাহানকে গ্রামের পাশে একটি আকন্দ গাছের আঠা লাগিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে যশোর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। অন্যদিকে রেজাউল ইসলামকেও প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তিন দিন পরে হাসপাতালে নেওয়া হবে বলে জানান তার স্বজনরা।
এ ঘটনার পর সতীঘাটা কামালপুর গ্রামে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। স্থানীয়রা জানান, আমরা গ্রামের পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করি। ছেলে-মেয়েরা আতঙ্কে বাড়ির বাইরে যেতে পারছে না। প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি—দয়া করে এ সমস্যা থেকে আমাদের মুক্তি দিন