
সেলিম মিয়া, রংপুর
রংপুর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘সুষ্ঠ নির্বাচনের জন্য কতগুলো মৌলিক সংস্কার অবশ্যই করতে হবে।
আমরা সেই সংস্কারগুলোর কথা বলেছি। আমরা সংস্কারগুলো আদায় করে ছাড়ব। সুষ্ঠনির্বাচন ইনশাআল্লাহ আদায় করে ছাড়ব। শুক্রবার (৪ জুলাই) বিকালে রংপুর জিলা স্কুল মাঠে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সব খুনির বিচার, প্রয়োজনীয় সব সংস্কারের পর নির্বাচনসহ ৪ দফা দাবিতে রংপুর মহানগরী ও জেলা জামায়াতের আয়োজন বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ডা. শফিকুর রহমান বলেন, কেউ যদি আওয়ামী ফ্যাসিবাদের আমলের নির্বাচনের স্বপ্ন দেখে থাকেন, আমরা মহান আল্লাহর সাহায্যে সেই স্বপ্নকে দুঃস্বপ্নে পরিণত করব। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে দেয়া হবে না। কোনো প্রশাসনিক ক্যু করতে দেওয়া হবে না। ভোটকেন্দ্রে কোনো মাস্তানতন্ত্র চলতে দেওয়া না, কালো টাকার কোনো খেলা সহ্য করা হবে না। জনসভায় প্রধান বক্তা এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেন, আমি আপনাদের সঙ্গে মিলিত হতে পারবো, এটা কোনো সময় চিন্তায় আসেনি। আমি কারাগারে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলার জন্য প্রস্তুত ছিলাম।
আল্লাহ যে আমাকে ফাঁসির মঞ্চ থেকে জনতার মঞ্চে নিয়ে আসবে, এটা আল্লাহ ছাড়া কেউ জানতো না। আজকে আমি ফাঁসির মঞ্চ থেকে লক্ষ জনতার মঞ্চে হাজির হয়েছি। সবই আল্লাহর মেহেরবানি, রহমত। যে গলায় আমার রশি পড়ানোর কথা ছিল, সেই গলায় ফুলের মালা পড়ানো হলো। আমার ফাঁসি দেওয়ার জন্য যে সমস্ত স্বাক্ষী যোগাড় করা হয়েছিল, তাদের মাধ্যমেই তো স্বাক্ষী দিয়ে আমাকে ফাঁসি দেওয়ার চেষ্টা করা হলো। আল্লাহ আমাকে মুক্ত করেছেন। তিনি বলেন, আমার মুক্তির প্রথম সোপান হচ্ছে আবু সাঈদ। যার বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দেওয়ার মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থান শুরু হয়েছিল। যার পরিসমাপ্তি হয়েছিল ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট। ৫ আগস্ট না হলে আপনারা আমার জানাজা পড়তেন। আমার মুক্তির জন্য আবু সাঈদ আমার পক্ষে কাজ করেছে। তার মৃত্যুই আমাকে মুক্তির পথ দেখিয়ে দিয়েছে। আমি তার হত্যাকারীদের দ্রুত বিচার দাবি করছি।
জনসভায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রংপুর মহানগরের আমীর মাওলানা এটিএম অজম খানের সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রংপুর জেলার আমীর অধ্যাপক গোলাম রব্বনীর পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, মাওলানা আব্দুল হালিম, ঢাকা দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল, উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা মমতাজ উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।