
সাজ্জাদ তুহিন নড়াইল প্রতিনিধি :
নড়াইল লোহাগড়া উপজেলার নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের গমের ক্ষেতে গরু ঢুকে পড়ার অপরাধে সাবেক ও বর্তমান দুই মেম্বর পক্ষের সংঘর্ষে ২১ জন আহত হয়েছে।
৬ মার্চ (বৃহস্পতিবার) সকালে নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের ছত্রহাজারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে আক্তার কাজী গ্রুপের কাজী সাগর হোসেন (৪৮) এর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। বাকিরা নড়াইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আহত আক্তার কাজী গ্রুপের অন্যরা হলেন-আক্তার কাজী (৪৮), কাজী মনি মিয়া (৪৫), কাজী সামাদ(৩৮), কাজী ইকলাস (৫০), কাজী সাবু (৩৮), কাজী সৈকত(৫৫). কাজী বিল্লাল(৫৫), কাজী রেজোয়ান (২০),কাজী আরিফ(৪৮),বিউটি বেগম (৫৫), কাজী সাকিব (২২)।
অন্য গ্রুপের আহতরা স্থানীয় লোহাগড়া স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,ইউনিয়নের বর্তমান মেম্বর সাঈদ মিনা ও সাবেক মেম্বর আক্তার কাজীর সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে আক্তার কাজীর ভাই খোকা কাজীর গরু গ্রামে উত্তর মাঠে চরাতে দিয়ে আসে। একপর্যায়ে গরুটি প্রতিপক্ষের সাইদ মিনার ক্ষেতে ঢুকে পড়লে বিপত্তি ঘটে।
এসময় সাইদ মিনার ছেলে মনিরুল মাঠে কাজ করা অন্য পক্ষের লোকদের শাসায়। এতে উভয় পক্ষে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হলে আক্তার কাজীর পক্ষীয় ১২ জন এবং সাইদ মিনা পক্ষীয় ৯ জন আহত হয়। এর মারাত্নক আহত সাগর কাজী(৩৪) অবস্থা আশংকা জনক। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুর রহমান বলেন,‘এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে,পরিস্থিতি স্বাভাবিক। এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে মামলা নিয়ে আসামীদের গ্রেফতার করা হবে।