ঢাকা অফিস:
ফোরপি (4p) সার্ভে নামে একটি নামসর্বস্ব কোম্পানি দীর্ঘ দিন যাবৎ প্রতারণা করে আসছে। ভুয়া এ কোম্পানিটি মূলত রাজধানী ঢাকা সহ সারাদেশে বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো থেকে ডাক্তারদের লেখা রুগীদের চিকিৎসা পএ ( প্রেসক্রিপশন) গুলোর ছবি তোলার কাজ করে থাকে।
রুগীদের কাছ থেকে ছবি তোলা প্রেসক্রিপশন দিয়ে কথিত 4P ফোরপি কোম্পানি একটি রিপোর্ট তৈরি করে যা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে সংগ্রহ করে দেশের বড় বড় ঔষধ কোম্পানিগুলো।স্কয়ার ফার্মা, অপসোনিন,রেনেটা, এরিস্টো ফার্মা, নাভানা, ওরিয়ন, এসিআই ও পপুলার সহ বেশ কিছু কোম্পানি। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে,কি এমন রিপোর্ট রয়েছে প্রেসক্রিপশনে যা টাকা দিয়ে কিনে নেয় ওষুধ কোম্পানিগুলো ? তাহলে শুনুন এবাড় বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানি বিভিন্ন স্থানে ডাক্তারদের কে টাকা দিয়ে ঔষধ লেখার চুক্তি করে নিজ,নিজ কোম্পানি গুলো। চুক্তিবদ্ধ ডাক্তার টাকা খেয়ে ঔষধ লিখে কিনা সেটাই এ রিপোর্টে দেখা যায়।
সাধারণ রোগীরা যখন চিকিৎসা নিতে আসে তখন ডাক্তাররা সার্ভে আসার কথা শুনলেই ওষুধ ডাবল লিখে দেয় কারন ডাক্তার সাহেব তো বিভিন্ন কোম্পানির কাছ থেকে টাকা খেয়ে বসে আছে রিপোর্ট তো না আসলে ডাক্তারের সাথে চুক্তি বাতিল করে কোম্পানি গুলো। ফোরপি কোম্পানি রিপোর্টগুলো তৈরি করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন কোম্পানির কাছ থেকে টাকা খেয়ে ডাক্তারদের কাছ থেকে ভুয়া প্রেসক্রিপশন দিয়ে রিপোর্ট তৈরি করে। এতে করে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সারাদেশে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীরা, কারণ রোগী জানেই যে প্রয়োজনের তুলনায় ডাক্তার তাকে অনেক বেশি ওষুধ লিখে দিচ্ছে।
রাজধানীর হাতিরপুল এলাকায় ইস্টার্ন প্লাজার লিফটের সাত রুম নং ৮/২৯ ঠিকানায় বসে সারাদেশে এই নৈরাজ্য চালাচ্ছে চন্দন কুমার নামের জনৈক ব্যাক্তি। থানা প্রশাসন স্থানীয় লোকজন মার্কেট সমিতি কতৃপক্ষ সহ সিকিউরিটি সবাই জানে ফোরপি এটা একটা ভুয়া কোম্পানি কিন্তু ২০০৯ সালে থেকে প্রতিষ্ঠিত অদ্যবধি পরিচালিত এই ভুয়া কোম্পানিটি চিকিৎসা সেবা নিতে আসা সকল রোগীদের জন্য বিষ ফোড়া।
ভুয়া এ কোম্পানিটির ভুয়া রিপোর্টের জন্যই মানুষের চিকিৎসা ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে বহুগুণে।বিগত সরকারের আমল থেকে কিছু অসাধু দুষ্কৃতী লোকজনকে ম্যানেজ করে একটি সেন্টিকেটের মাধ্যমে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে কোম্পানিটি। প্রতারণা এই চক্রের প্রধান চন্দন কুমার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলায়।
সারা দেশের মানুষদেরকে ধোকা দিয়ে প্রসাশনের গাফুলোতিতে অবৈধভাবে ভুয়া রিপোর্ট তৈরি করে অবৈধভাবে গড়ে তুলে সম্পদের পাহাড়।
প্রতারক চন্দন কুমার। অভিজিৎ, শিশির, এক্সেকিউটিভ ইউসুফ সহ আরও অনেকে রেয়েছে এই চক্রের সাথে। সাধারণ মাঠকর্মী হিসেবে যারা এখানে কাজ করে তাদের অনেককেই বেতন ভাতা দেয়ার কথা বলে অথচ কিছুই দেয়না বলে অভিযোগ ওঠে। কোন বেতন টিএ ডিএ না দিয়ে ইচ্ছামতো কাজ করানোর পর বাদ দিয়ে দেয়। বিভিন্ন সময়ে তাদের ন্যায্য মজুরি নিয়ে আন্দোলন করলেও নির্যাতন করে চাঁদাবাজ অথবা এভাবে সিঙ্কেট করে তাদেরকে বের করে দেওয়া হয়।
তবে এই চক্রটি শুধু এই ভুয়া রিপোর্ট তৈরির কাজ করেই ক্ষান্ত হয়নি। চক্রটি গোপনে সারা বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন মানুষের বিশেষ করে তরুণ শিক্ষিত চাকরি প্রত্যাশী বেকারদের টার্গেট করে তাদের জাতীয় পরিচয় পএ গুলো সংগ্রহ করে বাংলাদেশ জাতীয় নাগরিকদের তথ্য টাকার বিনিময়ে অন্য দেশে পাচার করে। যেটা সম্পূর্ণ অন্যায় এবং রাষ্ট্রদ্রোহী অপরাধ। কাজেই অতি দ্রুত এই প্রতারক চক্র কে আইনের আওতায় না আনতে পারলে দেশের সুষ্ঠু চিকিৎসা ব্যবস্থা আরো বিঘ্ন ঘটবে।