Thursday, March 13, 2025

নড়াইলে জোরপূর্বক পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপনা নির্মাণ করে জমি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখলের অভিযোগ

Date:

Share post:

 

সাজ্জাদ তুহিন নড়াইল প্রতিনিধি: নড়াইল সদর উপজেলার শেখহাটি ইউনিয়নে ২ যুগ ধরে জোরপূর্বক  পুলিশ ফাঁড়ী কতৃক জমি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখলের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

১ লা মার্চ (শনিবার) সকাল ১১ টার দিকে শেখহাটি  পুলিশ ক্যাম্প চত্বরে এ  কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত জমির মালিক ভুক্তভোগী হাসান মিয়া তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমার জমি আমি চাই, পুলিশের  বিচার চাই। আমি একজন কৃষক পরিবারের  সন্তান। দীর্ঘ দিন  ধরে আমি এলাকায় সুনামের সাথে ব্যাবসা করছি। প্রায় ২ যুগ ধরে পুলিশের হয়রানির শিকার হয়ে বিভিন্ন আদালতে ঘুরতে ঘুরতে আর্থিক ভাবে নিস্ব হয়ে গেছি। সর্বশেষ কোন উপায় না পেয়ে আজ আপনাদের সামনে আমি হাজির হয়েছি।

বিগত ২৪-১১-১৯৯৩ ইং ৪ শতাংশ, ২৯-০৯-১৯৯৩ তারিখে ৬ শতাংশ, ০৭-১০-১৯৯৩ তারিখে পৌনে পাঁচ শতাংশ, সর্ব মোট পৌনে পনের শতাংশ জমি বিভিন্ন সময় কবলা মূলে ক্রয় করে উক্ত জমির উপর একটি  রাইস মিল, একটি  কাপড়ের দোকান, একটি  মুদি দোকান দিয়ে কোন রকম  জীবিকা নির্বাহ করছি।

কিন্তু অত্যান্ত দুঃখের বিষয় বিগত ১৫-০৪-২০০১ তারিখে নিম্ন তফসিল ভুক্ত সম্পত্তি থেকে তৎকালীন সেখহাটি পুলিশ ক্যাম্পের কতিপয় পুলিশ কর্মকর্তা এবং তৎকালীন পুলিশ সুপার মোঃ সোহরাব হোসেন এর যড়যন্ত্রের শিকার হয়ে, বিভিন্ন মামলা-হামলার হুমকিসহ, উক্ত দোকান-পাট ভাংচুর করে আমাকে উক্ত সম্পত্তিতে থেকে বে-দখল করে। এ বিষয়ে ১৫-০৪-২০০১ তারিখে তৎকালীন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর নিকট অভিযোগ দাখিল করি।

অভিযোগের ভিত্তিতে স্মারক নং-সেল ২-২০০১/৪১৬ (নড়াইল), তারিখ-২৫-০৪-২০০১ ইং মূলে পুলিশ হেড কোয়ার্টার বিষয় টি তদন্ত করে প্রতিবেদন চেয়েছিলেন। কিন্তু এখও  কোন প্রতিকার পায়নি। তিনি আরো বলেন, পুলিশ সুপার নড়াইল দলিল নং-১৭২১/১৯৯৯ মূলে দাতা মোছাঃ হায়াতন্নেছা থেকে পেয়েছেন মর্মে যে দাবী করেছিলেন তাহা সত্য নয়। হায়াতন্নেছা অনেক আগেই ১৯৭৫ সালে তার আপন ভাই মোক্তার আলীর নিকট বিক্রয় করেছিল। তাহলে  উক্ত হায়তন্নেছা কিভাবে ১৯৯৯ সালে ওই জমি পুলিশ সুপার নড়াইল-কে প্রদান করেন।

নড়াইল জেলার পুলিশ কর্মকর্তাগণ উক্ত হায়াতন্নেহা ক- দিয়ে তাহার আপন ভাইকে প্রদত্ত কবলা দলিল বাতিলের মামলা করেন যাহার নং-৪৯/৯৯, যাহা উক্ত হায়তন্নেছা প্রমান করতে পারেন নি। যাহা শুনানী অন্তে বিজ্ঞ আদালত বিগত ২৭-০৭-২০০০ তারিখে রায় প্রদান করেন এবং বাদী হায়াতন্নেছা কর্তৃক দাখিল কৃত মামলা খারিজ করে দেন।

১৯৭৫ সালে তার ভাইকে প্রদত্ত দলিল সঠিক মর্মে ঘোষনা করেন, যাহা এখন পর্যন্ত বলবৎ আছে। সুতরাং ১৯৯৯ সালে পুলিশ সুপার নড়াইলকে প্রদত্ত নিরূপন দলিল বে-আইনী, অকার্যকর এবং প্রকৃতপক্ষে পুলিশ সুপার নড়াইলকে প্রদত্ত ৫০ (পঞ্চাশ) শতক উক্ত নিরুপন দলিল মূলে দাবী বে-আইনী, বাতিল বলে  আদালত রায় দেন।

এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, জমির মালিক শওকত মিনা, ছেলে মানিক মিনা, নাইমুল ইসলাম, সাহিন মিনা, মিনাজ সরদার, রফিকুল  ইসলাম মনা প্রমুখ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

spot_img

সম্পর্কিত নিবন্ধ

অর্থসেল সম্পাদক সুমাইয়া শিকদার ইলার প’দত্যা’গ, তুললেন ২৭টি গু’রুতর অ’ভিযো’গ

স্বীকৃতি বিশ্বাস, যশোর: যশোরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার পর থেকেই একের পর এক পদত্যাগ করছেন...

বগুড়া শহর যুবদলের ৫টি ওয়ার্ডের যৌথ উদ্যোগে ইফতার বিতরণ

বগুড়া প্রতিনিধি, মোঃ রিপন ইসলাম: বুধবার বিকেলে বগুড়া শহর যুবদলের আওতাধীন ৫টি ওয়ার্ডের যৌথ উদ্যোগে মাটিডালী বিমান মোড়ে দুস্থ...

বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও আমার ভাবনা

মো. বেল্লাল হাওলাদার রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস রমজান। শান্তি, কল্যাণ ও সৌভাগ্যের বার্তা নিয়ে আসে এই পবিত্র মাসটি।...

ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ মণিরামপুর উপজেলা শাখার পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত

আব্দুল্লাহ আল মামুন,যশোর: ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ মণিরামপুর উপজেলা শাখার পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার ১২ই মার্চ জোহর...