Tuesday, July 22, 2025

নড়াইলে জমির শ্রেনী পরিবর্তন করে উচ্ছেদ প্রচেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

Date:

Share post:

 

সাজ্জাদ তুহিন নড়াইল প্রতিনিধি : নড়াইলে জমির শ্রেনী পরিবর্তন করে উচ্ছেদ প্রচেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২৮ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) সকাল ১১ টার দিকে নড়াইল পুরাতন বাজারের চিত্রা নদীর কুলে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।  জেলা প্রশাসক কতৃক উচ্ছেদ নেটিশের ভুক্তভোগী জনগণের আয়োজনে এসময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, নড়াইল কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের  ইমাম ম. ম. শফিউল্লাহ।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আজ আমরা অত্যন্ত সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি। নড়াইল পৌরসভা মহিষখোলা মৌজার দক্ষিণ পার্শ্বে চিত্রা নদী প্রবাহিত। নদীর চর পড়ে থাকা জায়গা দীর্ঘ ৫০ বৎসর পূর্ব থেকে মাননীয় মহাকুমা প্রশাসক ও পরবর্তী জেলা প্রশাসক অকৃষি খাস জমি হিসাবে বন্দোবস্ত করে আসছে। আমরা নিজ নিজ ইজারাকৃত জমিতে গৃহ নির্মান করিয়া পরিবার পরিজন লইয়া বসবাস করছি।

১৯৯৩ সালে পৌর এলাকার খাস/অকৃষি জমি স্থায়ী বন্দোবস্ত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিমিত্তে হওয়ায় আমরা স্থায়ী বন্দোবস্ত পাওয়ার জন্য জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নিকট আবেদন করি। আমাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে উক্ত জমি গত ১৭/০৭/৯৬ তারিখে বাটা দাগ করিয়া প্লট সৃষ্টি করিয়া দাগ নং বসিয়ে স্থায়ী ইজারা দেওয়ার প্রস্তাবনা মাননীয় বিভাগীয় কমিশনারের নিকট প্রেরণ করেন। মহিষখোলা মৌজায় জরিপকালে আমাদেরকে মহিষখোলা মৌজায় অন্তর্ভুক্ত করিয়া মাঠ পর্চা ও ৩০ ধারা অনুমোদিত হয়।

তিনি আরো বলেন, স্থায়ী বন্দোবস্ত দরখাস্তকারীগনের মধ্য হতে কয়েকজনকে জেলা প্রশাসক দাতা হইয়া মুল্য নির্ধারনের মাধ্যমে রেজিষ্ট্রি করিয়া দেন। বাকি ফাইলগুলি প্রবাহধিন আছে। গত ০১/১১ সালে জমি হইতে ঘর বাড়ি অপসারনের নোটিশ প্রদান করিলে আমরা মহামান্য হাইকোর্টের শরনাপন্ন হই। মহামান্য হাইকোর্ট কাগজপত্র বিবেচনা করিয়া ৬০ দিনের মধ্যে উক্ত জমি স্থায়ী বন্দোবস্ত দেওয়ার নির্দেশনা প্রদান করেন। উক্ত হাইকোর্টের নির্দেশনা মোতাবেক পুনরায় স্থায়ী বন্দোবস্ত দেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান। ইতিমধ্যে ২৯/০১/২৫ তারিখ জেলা প্রশাসক মহোদয় উক্ত খাস অকৃষি জমিকে নদীর শ্রেনীতে অন্তর্ভুক্ত করিয়া আমাদের উচ্ছেদের নোটিশ প্রদান করেছেন।

অতিব দুঃখ ও হতাশা গ্রন্থ হইয়া আমরা আপনাদেরকে জ্ঞাত করিতেছি যে, উক্ত জমি জেলা প্রশাসক কর্তৃক অকৃষি খাস জমি পর্চা দাগ সৃষ্ট করিয়া প্লট হিসাবে ইজারা দিয়েছেন এবং কিছু জমি দাতা হিসাবে বিক্রয় করিয়া দিয়েছেন কিন্তু আজ ৫০ বৎসর পর উক্ত জমির শ্রেনী পরিবর্তন করে আমাদেরকে উচ্ছেদের পরিকল্পনা করেছেন। আমাদের অত্র জমি ছাড়া অন্য কোথাও কোন ভুমি নাই। আজ ৫০ বৎসর পর জমির শ্রেনী পরির্তন করে আমাদের বিতাড়িত করলে তা হবে আত্মঘাতি বৈষম্যমুলক সিদ্ধান্ত। আমরা কোন অবৈধভাবে নদীর জায়গায় দখল করি নাই। মাননীয় জেলা প্রশাসক আমাদেরকে সরকারী বিধি মোতাবেক অকৃষি ও খাস জমি ইজারা দিয়েছেন। যাতে আমরা আমাদের জীবনের তিলে তিলে অর্জিত অর্থ দিয়ে বাড়িঘর নির্মান করিয়া ৫০ বৎসর যাবত বসবাস করিতেছি। আমাদের কে উচ্ছেদ করিলে আমাদের খোলা রাস্তায় বা গাছের তলায় পরিবার নিয়ে থাকিতে হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও  পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি অশোক কুন্ডু, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো.তবিবর রহমান খান,খন্দকার আল মাসুদ হাসান, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, মোজাহিদুল রহমান পলাশ, নড়াইল কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সাধারণত সম্পাদক  মো. দেলোয়ার হোসেন,মো. আফানুর রহমান প্রমুখ।

এ বিষয়ে জেলাা প্রশাসক শারমিন আক্তার জাহান মুঠোফোনে বলেন, উচ্ছেদের জন্য যাদের নোটিশ করা হয়েছে তাদের কখনও বন্ধবস্ত দেওয়া হয়নি। অবৈধ ভাবে নদী দখলদারদের উচ্ছেদের জন্য নোটিশ করা হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

spot_img

সম্পর্কিত নিবন্ধ

খাগড়াছড়ি দেশ গড়তে জুলাই পদ যাত্রা উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সংবাদ সম্মেলনে অনুষ্ঠিত হয়েছে

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ি দেশ গড়তে জুলাই পদ যাত্রা উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সংবাদ সম্মেলনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ 21 জুলাই সোমবার বিকালে...

উল্লাপাড়ায় ভ’য়াবহ অ’গ্নিকা’ন্ডে ১২ লাখ টাকার ক্ষ’য়ক্ষ’তি

মোঃ লুৎফর রহমান লিটন, সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া পৌরসভার আদর্শ গ্রামের একটি ব্র্যাকে আগুন লেগে ১০ টি ঘর ভস্মিভুত হয়েছে।...

ছাগলের পাতা খা’ওয়াকে কেন্দ্র করে পা ভা’ঙার অ’ভিযোগ সতীঘাটায় উ’ত্তেজনা

মোঃ ওয়াজেদ আলী, স্টাফ রিপোর্টার: যশোর সদর উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের সতীঘাটা কামালপুর রাজবংশী পাড়ায় একটি ছাগলের পা ভাঙাকে কেন্দ্র...

রৌমারীতে বিপুল পরিমাণ ই*য়াবা ও নগদ টাকাসহ দুই মা’দক ব্যবসায়ী গ্রে’ফতার

লিটন সরকার রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের রৌমারী থানা পুলিশের মাদকবিরোধী বিশেষ অভি*যানে ১,০০৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, মা*দক বিক্রির নগদ...