Wednesday, October 15, 2025

পরীক্ষার হলে নকল করে শিক্ষকের কাছে ধরা পড়ে লজ্জায় কলেজ শিক্ষার্থীর আত্নহত্যা 

Date:

Share post:

নয়ন হাসান,  মনিরামপুর:
যশোর মনিরামপুর উপজেলার বাগডাংগা গ্রামের আঃ জলিল এর মেয়ে সাবিনা খাতুন নামে এইচ এস সি পড়ুয়া কলেজ ছাত্রী পরীক্ষার হলে নকল করে শিক্ষকের কাছে ধরা পড়ে পরে বাড়ি ফিরে লজ্জায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে তার ঘর থেকে মৃত্যুর আগে খাতায় লিখে রাখা একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে পুলিশ।
৩০ মার্চ শনিবার মনিরামপুর উপজেলার বাগডাঙ্গা গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে।
সাবিনা খাতুন উপজেলার গোপালপুর স্কুল এন্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেনির ছাত্রী ছিল। স্থানীয় সুত্রে জানা যায় আজ ইংরেজি দ্বিতীয়পত্রের বিষয় দিয়ে নির্বাচনী পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
বাগডাঙ্গা গ্রামের হাফিজুর রহমান বলেন,আজ কলেজে পরীক্ষা দেয়ার সময় সাবিনার কাছে নকলের কাগজের টুকরা দেখে ফেলেন কক্ষের শিক্ষক। পরে এক ঘণ্টা ৩০ মিনিট তার খাতা আটকে রাখা হয়।
পরিবার সুত্রে জানা যায় কলেজ থেকে বাড়ি ফিরে একটি কাগজে সব ঘটনা লেখে সাবিনা। তারপর ঘরের দরজা লাগিয়ে আড়ার সাথে ওড়না জড়িয়ে গলায় ফাঁস দেয় সে। কিছুক্ষণ পর মেয়ের সাড়াশব্দ না পেয়ে, ঘরে এ দৃশ্য দেখে ওর মা চিৎকার দেন। তখন আশপাশের লোকজন এসে সাবিনার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে গোপালপুর স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ রেজাউল করিম বলেন, ঘটনা জানার পর আমি শিক্ষক ও কমিটিকে নিয়ে জরুরি সভায় বসেছি। মেয়েটির কাছে পাওয়া সেই নকলের কাগজ ও তার পরীক্ষার খাতা আমার সামনে। ইংরেজি দ্বিতীয়পত্র দিয়ে আজ এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের নির্বাচনী পরীক্ষা শুরু হয়েছে। কলেজের শিক্ষক তাসলিমা খাতুন ও ইসমাইল হোসেন কক্ষের দায়িত্বে ছিলেন। আমি তাদের সঙ্গে কথা বলছি। পরে বিস্তারিত জানাতে পারব।
মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী মাসুদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা হবে। লাশ মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
ওই কলেজছাত্রীর খাতায় লেখা ছিল “আমার কিছু মনে থাকে না বলে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার আগে আমি অল্প একটু কাগজে তথ্য লিখে পড়তে পড়তে কক্ষে যায়। পরীক্ষা শুরু হয়ে যাওয়ায় তা ফেলে দিতে মনে ছিল না। পরীক্ষার মধ্যে কলেজের সমাজ-বিজ্ঞানের শিক্ষক তা দেখে ফেলেন। তিনি খাতা নিয়ে দেড় ঘণ্টা আটকে রাখেন। আমি তার কাছে ভুল স্বীকার করেছি। তারপরও তাসলিমা ম্যাডাম ও ইসমাইল স্যার আমাকে পরীক্ষা দিতে দিল না। তাড়িয়ে দিলেন। আমি লজ্জায় মুখ দেখাতে না পেরে দুনিয়া ছেড়ে চলে যাচ্ছি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

spot_img

সম্পর্কিত নিবন্ধ

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার উস্তি গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ শুরু হয়েছে আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান কর্মসূচি

কলকাতা থেকে নিউজ দাতা মনোয়ার ইমাম: আজ সকালে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার মগরাহাট পশ্চিমের উস্তি গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষে শুরু...

কালিহাতীতে প্রোটেক্টিভ ইসলামী লাইফ বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠিত

বুলবুল হোসেন: টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে প্রোটেক্টিভ ইসলামী লাইফ বৃত্তি–২০২৪-এর বৃত্তিপ্রাপ্ত কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে। বুধবার (১৫ অক্টোবর)...

বগুড়া পৌরসভা বিএনপির উদ্যোগে ধানের শীষে ভোট চেয়ে লিফলেট বিতরণ

রিপন বগুড়া প্রতিনিধি: বুধবার সকালে বগুড়া পৌরসভার ১৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান উপস্থাপিত...

রৌমারীতে স্কুল পড়–য়া দু’ছাত্রকে মি”থ্যা চু”রি মা/ম/লা দিয়ে ফাঁ/সা/নোর প্র/তিবাদে মানব”বন্ধন ও বি”ক্ষোভ মি’ছিল

লিটন সরকার রৌমারী (কুড়িগ্রাম): কুড়িগ্রামের রৌমারীতে স্কুল পড়–য়া দু’ছাত্রকে চুরি মামলা দিয়ে ফাঁসানোর প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল পালন...