এমদাদুল হক ক্রাইম রিপোর্টার মনিরামপুর:
যশোরের মনিরামপুর উপজেলার ঢাকুরিয়া বাজারে দীর্ঘদিন ধরে অভিনব কায়দায় সংঘটিত মোবাইল ফোন চুরির ঘটনার মূল হোতা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে ঢাকুরিয়া ইউনিয়নের চাঁপাকোনা গ্রামের শ্রী কৃষ্ণ হালদারের ছেলে তন্ময় হালদার (১৬)।
এলাকাজুড়ে অসংখ্য মোবাইল চুরির ঘটনায় মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়লেও চোরের সন্ধান মিলছিল না। অবশেষে বাজারের মোবাইল মেরামতকারী কাজল হোসেনের দোকান থেকে একে একে মোবাইল ফোন উধাও হওয়ার পর সন্দেহের তীর যায় তন্ময়ের দিকে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তন্ময় প্রায় প্রতিদিনই কাজলের দোকানে নিরীহ ক্রেতা সেজে বা পরিচিতজনের মতো আচরণ করে বসে থাকত। সুযোগ পেলেই দোকানে রাখা Android ফোনগুলো হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যেত। ইতোমধ্যে সে প্রায় ১৫টি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন চুরি করে ফোনের ভেতরে থাকা মূল্যবান পার্টস খুলে ভাংড়ির দোকানে বিক্রি করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। চুরির ঘটনাগুলো ছিল এতটাই পরিকল্পিত যে, দোকান মালিক কেউই প্রথমে তার ওপর সন্দেহ করতে পারেননি।
গ্রামের লোকজন জানান, তন্ময়ের বিরুদ্ধে শুধু মোবাইল চুরি নয়, অল্প বয়সেই সে রাতে হাঁস-মুরগি, ঘরের মালামাল ও বিভিন্ন জিনিসপত্র চুরিতে জড়িয়ে পড়েছে। দিনেও একই ধরনের চুরির ঘটনা ঘটায় এলাকাবাসী চরমভাবে বিরক্ত ও ক্ষুব্ধ। একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, তন্ময়ের কারণে গ্রামে শান্তিতে থাকা দায় হয়ে পড়েছে।
এদিকে বাজার বণিক সমিতির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সালিশে চুরির দায় স্বীকার করে তন্ময়ের বাবা শ্রী কৃষ্ণ হালদার ২০ দিনের মধ্যে চুরি হওয়া প্রতিটি মোবাইল নতুন করে মেরামত করে ক্ষতিপূরণ দেবেন বলে অঙ্গীকারবদ্ধ হন।
এ জন্য তিনি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে তার ছেলেকে সাথে নিয়ে বাড়ি ফেরেন। তবে এলাকাবাসীর দাবি—এই ধরনের ঘটনা বারবার ঘটায় তন্ময়কে আইনের আওতায় এনে যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা করা জরুরি, নাহলে সে আরও বড় অপরাধে জড়িয়ে পড়তে পারে।
স্থানীয়রা কঠোর ভাষায় বলেন, এই কিশোরের সীমাহীন বেপরোয়া কর্মকাণ্ডে এলাকায় দুর্ভোগের শেষ নেই। দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে সে আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠবে।