মণিরামপুর প্রতিনিধিঃ
চলতি মাসের ১ম সপ্তাহের ৭ তারিখে রাত আনুমানিক ৯টার দিকে মণিরামপুর উপজেলার চিনাটোলা বাজারস্থ বিশ্বজিতের দ্বীতল ভবনের নিচতলায় ভাড়া বাসা হতে বন্যা খাতুন(৩২) নামের ব্রাক বাংলাদেশ এনজিও কর্মীর মৃতদেহ উদ্ধার করে মণিরামপুর থানা পুলিশ।
পরদিন ৮ই নভেম্বর মণিরামপুর থানা পুলিশ মৃত বন্যা আত্মহত্যা করেছে বলে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করে। পরে সাংবাদিকদের সামনেও থানার বারান্দায় দাঁড়িয়ে মণিরামপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ বাবলুর রহমান খান পরিষ্কার বলেছিলেন,বন্যার ময়নাতদন্তের রিপোর্টে আত্মহত্যা ছাড়া কোন ক্লু পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে ৯ই নভেম্বর মণিরামপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি বাবলুর রহমান খানের কাছে এত দ্রুত সময়ে কিভাবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন,ফরেনসিক ডাক্তার ফোনকলে জানিয়েছিলো এটা আত্মহত্যা! মৃত বন্যার ভাই রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ থানার বিশে মুন্সির ছেলে আঃ রাজ্জাক জানিয়েছেন তার বোনের দাফনের সময় কোমর হতে মাথা পর্যন্ত অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
কিন্তু মনিরামপুর থানা পুলিশ এটাকে নরমল করে খুনী তপুর পক্ষ নিয়ে ভূয়া ডাক্তারী রিপোর্ট দিয়ে তাদের পাঠিয়ে দেয়।তপুই আমার বোমকে হত্যা করে আত্মহত্যার মিথ্যা নাটক সাজিয়েছে। আমার বোনের হত্যার বিচার চাই!
এদিকে ঘঠনার সময় হতে দেড় বছরের মেয়ে রেখে পলাতক থাকা মৃত বন্যার ঘাতক স্বামী মেহেদী হাসান তপু স্থানীয় দৈনিক গ্রামেরকাগজের অর্থলোভী সাংবাদিক জাহাঙ্গীরের মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা দিয়ে ভূয়া প্রতিবাদ নিউজ ছাপিয়ে ও স্থানীয় বিএনপির নেতাদের হাত করে আবারও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
তথ্য মোতাবেক,বন্যার মৃত্যুর সময় হতে তপু পলাতক থাকলেও পত্রিকার প্রতিবাদে উল্লেখ করেছে তিনি পলাতক না তবে তথ্য সংগ্রহে গেলে তার বাবা কীটনাশক ব্যবসায়ী মাহবুবুর রহমান জানিয়েছিলেন তপু কোথায় আছে আমরা কেউ যানিনা!
অনুসন্ধানী তথ্য বলছে,যদি তপু হত্যা নাই করবে তাহলে এতদিন কেন পলাতক ছিলো! বন্যার মৃতদেহের গলায় ফাঁসের কোন চিন্হ নাই কেনো! তার কোমর হতে মাথা পর্যন্ত আঘাতের চিহ্ন কিসের! যদি তপু নির্দোষ হবে তাহলে মাত্র দেড় বছরের শিশু কন্যাকে ফেলে রেখে এখনো কোন খবর নেননি কেনো!
বন্যার রুমের সামনের রুমের যে ভাবী মিথ্যা তথ্য দিয়েছিলো সে ভাবীকে পরবর্তীতে আর পাওয়া যায়নি কোনো! বাসায় সিসি থাকলেও সেটার রেকর্ড নাই কেনো! তপুকে অভিযুক্ত করে মণিরামপুর থানায় মৃত বন্যার ভাই ৩০৬ ধারা উল্লেখ করে আত্মহত্যা প্ররোচনার অভিযোগ দিলেও কেনো তপু মণিরামপুর চিনাটোলা বাজারে বিএনপির প্রচারনা সভায় পুলিশের পাশেই দাড়িয়ে সমাবেশে অংশ নিলো! তাহলে কি হত্যাকারী তপু অর্থ ও ক্ষমতার বলে প্রশাসন এবং স্থানীয়দের ম্যানেজ করে হত্যার মতো নিকৃষ্ট অপরাধ করেও বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াবে!
গোপনসূত্রের তথ্য আছে,হত্যাকারি তপুকে মণিরামপুর উপজেলা বিএনপির সামনের সারির কোন এক নেতা অভয় দিয়ে বলেছেন,কিছুই হবেনা,সাংবাদিকরা যা লেখে আমি দেখবানে!
এ বেপারে মণিরামপুর -কেশবপুর সার্কেল অফিসার (এএসপি) ইমদাদুল হক'কে অবগত করলে তিনি বিষয়টি খতিয়ে দোখবেন বলে জানান।