নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
যশোর মণিরামপুর বালিয়াডাঙা সাদ্দাম মোড় এলাকার ত্রাস, তাজুল ইসলাম (তাজু) কথিত যুবলীগ নেতা নাম করা সন্ত্রাসী। ২০১৬ সালে একই এলাকার মৃত আনসার আলির কন্যা,ফাতেমা খাতুন কে ভয়ভীতি দেখিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করে তাজু। ফাতেমা তখন ডিভোর্সি ছিলেন,তার একটি সন্তান ছিলো ৩ বছর বয়সি,সেই সন্তান কে খুন,গুম,এর ভয় দেখিয়ে বিবাহ করতে বাধ্য করে তাজু।তাজুর সাথে বিয়ের আগে থেকেই সন্তান কে মানুষের মতো মানুষ করার জন্য বিদেশে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন।সন্তানের জীবন বাঁচানোর স্বার্থে তাজু কে বিবাহ করেই বকয়েকদিন পর সৌদি আরবে পাড়ি দেয় ফতেমা।সৌদি যেতে না যেতেই বিভিন্ন সময় টাকা পাঠাতে বলে তাজু।কয়েক বছর টাকা পাঠানোর পর,২০২৪ সালে জানুয়ারি মাসে এককালীন ৫ লক্ষ টাকা দাবি করে তাজু প্রবাসী তাজুর কাছে।টাকা দিতে না পারায় ফতেমার ভাইদের বিভিন্নভাবে প্রাণ নাশের হুমকি দিতো।সর্বশেষ প্ল্যান অনুযায়ী ৩ই নভেম্বর বিকালে তাজু মোটরসাইকেল আর করে সালক লাভলুর বাইক আটকে দেয়।এক পর্যায়ে বাইক সরাতে বললে তাজু ক্ষিপ্ত হয়ে গালিগালাজ করে। সালক লাভলু ঘটনা স্থান থেকে চলে আসে। তাজু,ও তার প্রথম ঘরের ছেলে সিবলি সাদিক (অপু) জিআই পাইপ, লোহার রড নিয়ে অপেক্ষা করে।লাভলু কে দেখতে পেয়ে হঠাৎ আক্রমণ করে তাজু ও তার পুত্র অপু।লাভলু কে মারপিট করার সময় তার বড়ো ভাই বাবলু ঠেকাতে গেলে তাকেও মারপিট করে।সরোজিনী গিয়ে অনুসন্ধানে জানাজায় তাজুর সালক লাভলুর সাথে বিভিন্ন ভাবে ঝগড়া করার পরিকল্পনা করে আসতেন তাজু,একপর্যায়ে ৩ই নভেম্বর পরিকল্পিত ভাবে লাভলু-কে মারপিট করে,লাভলু কে মারপিট করার সময় তাজু ও তার ছেলের হাতে থাকা জি আই পাইপের আঘাতে লাভলু, বাবলু আহত হয়।শাহিন নামে এক যুবক ঠেকাতে আসলে তাকেও মারপিট করে।একপর্যায়ে তাজু আহত হয়।অনুসন্ধানে আরো বেরিয়ে আসে তাজুর বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের ইতিহাস,মাদক বিক্রি থেকে শুরু করে একাধিক, ও নারীদের সাথে অসামাজিক কার্যকলাপে তথ্য। এলাকার মেয়ের বয়সি স্কুল পড়ুয়া মেয়েদের উতাক্ত করা সহ বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে থাকেন এই তাজু। তাজু এই ঘটনার পর লাভলু ও বাবলুর কপাল ভালো বলে জানায়।মায়ের বুকের দুধ খেয়েছে বলে তাদের কপাল ভালো,না হলে মেরে গুম করে দিতাম বলে হুমকি দেয়।এলাকার সাধারণ মানুষ তাজুর বিরুদ্ধে মুখ খুলতে চাই না ভয়ে।সত্যি বললে তাকে মারপিট সহ বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে থাকে তাজু। এই তাজুল ইসলাম তাজুর প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় রুপা খাতুন(১৪) নামে এক স্কুল ছাত্রীর পরিবার কে নির্যাতন,ও প্রাণ নাশের হুকমি দিতেন। তৎকালীন সময়ে মেয়ের নিরাপত্তা চেয়ে সাধারণ ডাইরি করেন তার পিতা। রুপা খাতুন ইউসুফ মলদারের একমাত্র কন্যা। এক পর্যায়ে ইউসুফ মলদার মেয়ের সম্মান, বাঁচাতে ভিটা বাড়ি বিক্রি করে চলে যায়। তাজুর বিরুদ্ধে অর্ধশত মেয়েকে উতাক্ত সহ একাধিক মেয়ে কে বিবাহ করতে বাধ্য করে বলেও জানাজায়।আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা কালিন সময়ে তার দাপটে এলাকায় ত্রাস তৈরি হতো। এবিষয়ে তাজু জানায় আমার দোকানের সামনে বাইক রেখেছিলাম, এক পর্যায়ে আমার সাথে লাভলু ঝগড়া করে।আমি বাইক সরিয়ে দিলেও লাভলু আমাকে পরবর্তীতে মারপিট করে।এবিষয়ে লাবলু বলেন আমার বাড়ির পাশেই বাজার,আমি বাইক নিয়ে যাওয়ার পথে, তাজু আমার সম্পর্কে দুলাভাই,তিনি রাস্তায় উপর বাইক রেখে পথ আটকে দেয়।কোনো ভাবে একটি বাইক পার হতে পারবে না।আমি গাড়িটি সরাতে বললে আমাকে গালিগালাজ সহ মারপিট করে।মারপিট করার সময় আমার বোন কে মানে তার দ্বিতীয় স্ত্রী তাকেও গালিগালাজ করে।আমার বোন প্রবাসী থাকে, সে বিভিন্ন সময় মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে।তারা স্বামী স্ত্রী, কে টাকা পাঠালো কি পাঠালো না সেটা তাদের ব্যাপার।কিন্তু এই ইসু নিয়ে আমাদের উপরে আক্রমণ করে।তাজুর বিরুদ্ধে একাধিক অপরাধের ঘটনা সুশীল সমাজ কে দুষিত করছে বলে জানাযায়।