সাজ্জাদ তুহিন নড়াইল প্রতিনিধি :
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক পেতে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মনিরুল ইসলামে নাগরিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১০ নভেম্বর সোমবার বিকালে নড়াইলে শেখ রাসেল ব্রিজের ওপারে মালিবাগ মোড়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মনিরুল ইসলামের পক্ষে ধানের শীষ প্রতীক পাওয়ার দাবিতে এ নাগরিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নড়াইল সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান আলেক।
সভায় নড়াইল সদর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মোজাহিদুর রহমান পলাশ, নগর বিএনপির সভাপতি তেলায়েত হোসেন বাবু, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার ফশিয়ার রহমান, লোহাগড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি আহাদুজ্জামান বাটু, সাধারণ সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক খন্দকার মঞ্জুরুল সাইদ বাবুসহ নড়াইল-২ আসনের নড়াইল সদর উপজেলা, পৌরসভা, লোহাগড়া উপজেলা ও পৌর বিএনপির নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে বারবার কারা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন মনিরুল ইসলাম। দীর্ঘদিন ধরে তিনি দল ও জনগণের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তার সাংগঠনিক দক্ষতা ও নেতৃত্বের প্রশংসা করেন বক্তারা।
তারা আরও বলেন, জনগণের আস্থা ও ভালোবাসার প্রতীক আলহাজ্ব মনিরুল ইসলামকে যদি নড়াইল-২ আসনে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়, তাহলে এ আসনে বিএনপির বিজয় নিশ্চিত হবে। বক্তারা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি আহ্বান জানান, যাতে তিনি মনিরুল ইসলামকে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়ে দলকে আরও শক্তিশালী করেন।
সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে মনিরুল ইসলাম বলেন, বহিরাগত ও হাইব্রিড প্রার্থীদের আমরা নড়াইলের জনগণ মেনে নেব না।
২০০৮ সালের নির্বাচনে আম মার্কা প্রতীকে মাত্র ২৯২ ভোট পাওয়া এক সম্ভাব্য জোট প্রার্থীর দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, নড়াইলের তৃণমূল কর্মীরা এমন প্রার্থীকে কখনোই গ্রহণ করবে না। নিজের ৩৯ বছরের রাজনৈতিক ত্যাগের কথা উল্লেখ করে আবেগঘন কণ্ঠে মনিরুল ইসলাম বলেন, এই রাজনীতির জন্য আমি আমার ব্যবসা, সম্পত্তি, এমনকি পরিবারকে সময় দিতে পারিনি। আমি কোনো লোভ বা লাভের আশায় রাজনীতি করি না, করি মানুষের ভালোবাসার জন্য।
সমাবেশে মনিরুল ইসলামের সহধর্মিণীও আবেগঘন বক্তব্য রাখেন। সমাবেশে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন, যা পুরো এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি করে।