
এস এম তাজাম্মুল,মণিরামপুরঃ
মনিরামপুরের খেদাপাড়া ইউনিয়নের চাঁদপুর এলাকার রনজিত দাস যিনি পেশায় একজন কলেজ শিক্ষক ও তার স্ত্রী পাপিয়া দাস মণিরামপুর উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল দপ্তরের মেকানিক পদে চাকরি করতেন।
উপজেলার বাজিতপুরে নন এমপিও ভুক্ত একটি কলেজের শিক্ষকতার পাশাপাশি উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে গভীর নলকূপ স্থাপন কাজের তদারকি করতে নিজের স্ত্রী পাপিয়া দাসকে (৩২) সহযোগিতা করতেন।
বাকি সময়টাতে রনজিত দাস(৪৩) চাঁদপুর নতুন হাটে আড়ৎদারি করতেন। সংসারে প্রতিবন্ধী এক সন্তানকে নিয়ে সুখেই যাচ্ছিলো দিন। তবে সে সময়টা দীর্ঘায়িত হলোনা এ দম্পতির। অবৈধযান চাউল ভর্তি ট্রলির চাপায় ২টি তাজা প্রান ঝরে গেলো অকালে।
তথ্যমতে,বুধবার ৫ই নভেঃ বেলা সাড়ে ১২টার দিকে স্বামী রনজিতের মোটরসাইকেলে চড়ে উপজেলার কাশিমনগর এলাকায় নলকূপ স্থাপনের কাজ তদারকিতে যাচ্ছিলেন পাপিয়া দাস। তারা মনিরামপুর-ঝিকরগাছা সড়কের বাকোশপোল মোড়ে পৌঁছুলে আচমকা বিপরীত দিক থেকে আসা চাল বোঝাই ট্রলি দেখে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুজনে পাকা রাস্তার উপর পড়ে গেলে ট্রলি চালক দুজনের উপর চাকা চালিয়ে দিলে গুরুত্বর আহত হন রনজিত ও তার স্ত্রী পাপিয়া দাস। স্থানীয়রা চিকিৎসার জন্য যশোর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেল কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকে মৃত বলে ঘোষণা কর।
এ বিষয়ে মণিরামপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ বাবলুর রহমান খান জানান,ঘঠনাস্থল পরিদর্শন ও স্থানীয়দের মাধ্যমে ঘাতক ট্রলি চালককে হেফাজতে নিয়েছে মণিরামপুর থানা পুলিশ। অপমৃত্যু মামলা দায়ের সহ এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মৃত দেহের ময়নাতদন্ত শেষে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
তবে এ দম্পতির মৃত্যুতে পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
পরিবারের সদস্যদের সাথে প্রতিবেশি ও দম্পতির সহকর্মীরাও ২টি তাজা প্রানকে হারিয়ে হতবিহ্বল হয়ে পড়েছে।



