আব্দুল্লাহ আল মামুন, যশোর:
মনিরামপুরে গ্রীষ্মকালীন অসময়ে তরমুজ চাষে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছেন কৃষক খলিলুর রহমান। আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির সহায়তায় তিনি প্রমাণ করেছেন, পরিশ্রম ও সঠিক পরামর্শ থাকলে মৌসুমের বাইরে ফসল ফলানো সম্ভব।
খলিলুর রহমান জানান, প্রায় ৩৫ হাজার টাকা ব্যয় করে তিনি তরমুজ চাষ করেছেন পৌরসভার তাহেরপুরে ৫০ শতক জমিতে। ইতোমধ্যে ক্ষেতের তরমুজ বাজারজাতের প্রস্তুতি চলছে। তিনি আশা করছেন, প্রায় তিন লক্ষ টাকার তরমুজ বিক্রি করতে পারবেন।
এ সাফল্যের পেছনে সার্বিক তত্ত্বাবধান ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা করেছেন মণিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা। তার সহায়তায় খলিলুর রহমান আধুনিক পদ্ধতিতে তরমুজ চাষে মনোনিবেশ করেন, যা এখন এলাকায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।
এবিষয়ে মণিরামপুর উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি অফিসার শারমিন শাহনাজ জানিয়েছেন, এভাবে অসময়ে তরমুজ চাষের সফলতা অন্য কৃষকদেরও উদ্বুদ্ধ করবে নতুন কৃষি উদ্ভাবনে অংশ নিতে।
এবিষয়ে উপ সহকারী কৃষি অফিসার বিএম হাফিজুর রহমান বলেন এর আগে মণিরামপুরে গ্রীষ্ম কালীন তরমুজের চাষ ছিল না,
চাষী খলিলুর রহমানের সাফল্যের পিছনে সার্বিক সহযোগিতা পরামর্শ দিয়েছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার,যার ফলে চাষী খলিলুর রহমানের আজ এই সাফল্য।
বিএম হাফিজুর রহমান আরও বলেন ইতোমধ্যে অনেক কৃষক আমার সাথে যোগাযোগ করতেছে যে আমাদের মাটিতে এত সুন্দর তরমুজ চাষ হয় আমাদের জানা ছিল না।
আশাকরি আগামীতে আরো বিপুল পরিমাণ জমিতে তরমুজ চাষ হবে।
চাষী খলিলুর রহমান বলেন ৫০ শতাংশ জমিতে আমি মাত্র ৩৫ হাজার টাকা খরচ করে তরমুজ চাষ করেছি, আমাকে সার্বিক সহযোগিতা পরামর্শ দিয়েছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা। জমিতে যে পরিমাণ তরমুজ হয়েছে তা প্রায় তিন লক্ষ টাকা বিক্রি হবে আশাকরি।