
নিজস্ব প্রতিবেদক:
যশোরের মণিরামপুর পৌরসভা এলাকায় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বি এম হাফিজুর রহমানের তত্ত্বাবধানে ব্রি ধান-৯০ জাতের নমুনা শস্য কর্তন সম্পন্ন হয়েছে।
বুধবার (২৯ অক্টোবর ২০২৫) সকালে পৌরসভার গাংড়া গ্রামের কৃষক রতন কুমার পালের রজস্ব প্রদর্শনী প্লটে এ কর্তন অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান, স্থানীয় কৃষক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
কর্তনকালে দেখা যায়, প্রতি গাছে গড় কুশির সংখ্যা ১৮টি এবং প্রতি শিশেতে দানার গড় সংখ্যা ৩০০টি। কাঁচা অবস্থায় ফলন পাওয়া গেছে হেক্টর প্রতি ৬.১৫ মেট্রিক টন, যার আদ্রতা ছিল ২৬ শতাংশ। শুকনা অবস্থায় ফলন দাঁড়িয়েছে হেক্টর প্রতি ৫.১৭ মেট্রিক টন এবং চাউলে ফলন হয়েছে হেক্টর প্রতি ৩.৪১ মেট্রিক টন।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বি এম হাফিজুর রহমান বলেন,“ব্রি ধান-৯০ জাতটি উচ্চ ফলনশীল, রোগ প্রতিরোধী এবং জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে মানানসই। আমি কৃষকদের এই জাতের চাষে উৎসাহিত করছি, কারণ এতে ভালো ফলন ও বাজারমূল্য পাওয়া যায়।”
তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে মণিরামপুর পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডজুড়ে নিয়মিত কৃষকদের পরামর্শ ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন। তার আন্তরিক প্রচেষ্টায় পৌর এলাকার কৃষকরা আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি গ্রহণে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। ফলে ধান উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে এবং কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।
স্থানীয় কৃষক রতন কুমার পাল বলেন,উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হাফিজুর রহমানের নিয়মিত পরামর্শ ও সহযোগিতার কারণেই আমি এই ফলন পেয়েছি। তিনি মাঠে এসে সরাসরি দিকনির্দেশনা দেন, যা আমাদের মতো কৃষকদের অনেক উপকারে আসে।



