লিটন সরকার রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুলাল চন্দ্র রায়ের চরম অনিয়ম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সেবা নিতে আসা রোগীরা।
সেবা নেওয়া আসা রোগিদের অভিযোগ রয়েছে, রবিবার সকাল ১০ টার দিকে রৌমারী উপজেলার বন্দবেড় ইউনিয়নের বাইটকামারী গ্ৰামের আবুল হাসেমের ছেলে মমিনুল ইসলাম তার স্ত্রীকে নিয়ে রৌমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ আসেন এসে দুলাল চন্দ্র রায়কে দেখান পরে দুইটি টেস্ট দিয়ে বলেন আয়শা ডায়গনিস্টিক সেন্টারে টেস্ট দুটি করান।
আয়শা ডায়গনিস্টিক সেন্টারে গেছে ১৭৬০ টাকা লাগবে বলে জানান আয়শা ডায়গনিস্টক সেন্টারের স্টাফরা পরে সেখান থেকে অন্যান্য ডায়গনিস্টিক সেন্টারে গেলে ঐই দুটি টেস্ট নেয়া হয় ৬০০ টাকা।
মমিনুল ইসলাম বলেন আমি গরীব মানুষ দুই টাকা কমের জন্য সরকারি হাসপাতালে আসি এখানেও দুর্নীতি আমরা কোথায় যাবো। বাসের আলী বলেন আমাকে দুলাল ডাঃ আয়শা ডায়গনিস্টিক সেন্টারে টেস্ট করতে বলেছিল আমি সেখান থেকেই টেস্ট করেছি। রোগীদের হাসপাতালে সেবা না দিয়ে বাইরে গিয়ে পরীক্ষা করাতে নানা প্রলোভন দিচ্ছেন।
আরিফা বেগম নামের এক রোগী বলেন, ‘ডাক্তার দেখাতে এসেছিলাম। কিন্তু একজন নারী বললেন, এখানে পরীক্ষার ঝামেলা অনেক, ডাক্তার দেখাতে সময়ও বেশি লাগে। তিনি আমাকে বলে আমি আপনি কে বাইরে একটা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা করায়া দিবো পরে আমাকে একটা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যায়। পরে আমি বুঝতে পারলাম, হাসপাতালে পরীক্ষা করালে কম খরচে ও ভালোভাবে হতো। এ বিষয়টি রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর ডাঃ দুলাল চন্দ্র রায়ের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি রোগী দেখছি পরে কথা হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুর সামাদ বলেন, এ বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।