
এস এম তাজাম্মুল,মণিরামপুরঃ
যশোরের মণিরামপুরে জলাবদ্ধ এলাকার চিনেটোলা হতে কোনাখোলা পর্যন্ত রাস্তার কাজে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নিম্নমানের কাঁচামালের ব্যবহার,যত্রতত্র কাজ ও মণিরামপুর উপজেলা প্রকৌশল শাখার দায়সারা দেখভাল,উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) কর্মকর্তার তথ্য প্রদানে টালবাহানা সহ ব্যাপক অনিয়মের ভিত্তিতে তথ্যবহুল একটি শিরোনামে গত মাসের ১ম সপ্তাহে(১লা সেপ্টঃ) দক্ষিনাঞ্চলের জনপ্রিয় দৈনিক যশোর বার্তা সহ একাধিক স্থানীয়/জাতীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়।
অভিযোগ উঠেছিলো,যশোরের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বনান্তর এন্টারপ্রাইজ চিনাটোলা হতে কোনাকোলা পর্যন্ত সড়ক নির্মানে চলমান কাজের নিম্ন/পুরাতন ইটের খোয়ার ব্যাবহার,বিগত কার্পেটিংয়ের ময়লাযুক্ত খোয়া পুনরায় ব্যাবহার সহ কয়েকটি অনিয়মের মধ্য দিয়ে তড়িৎ বেগে কাজ করে আসছিলো। আর এ সমস্ত অনিয়ম জেনেও পুরো কাজে মণিরামপুর উপজেলা প্রকৌশলী কর্মকর্তা ফয়সাল আহম্মেদ ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা মোটা অর্থ বানিজ্যের মাধ্যমে নিয়মবহির্ভূত এ কর্মকাণ্ডে দেখেও না দেখার ছন্দে ছিলেন। যার জন্য অফিসিয়ালি তথ্যের আবেদন করলেও দূর্নীতির দায়ে সে তথ্য দিতে অস্বীকৃত জানান মণিরামপুর উপজেলা প্রকৌশলী কর্মকর্তা(এলজিইডি) মোঃ ফয়সাল আহম্মেদ।
অনুসন্ধানী ঐ প্রতিবেদনের পর জেলা প্রকৌশলীর (এক্সএন) অবগত সাপেক্ষে অনিয়মের কাজের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে কারন দর্শানো নোটিশ প্রদান করেন মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত তামান্না। পরবর্তীতে নিম্নমানের কাচামালের ব্যবহারে চলমান ঐ কাজ বন্ধ করতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশনা দেন উপজেলা প্রকৌশলী কর্মকর্তা এ মর্মে চলতি তথ্য নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ।
এরই মধ্য চিনাটোলা হতে কোনাকোলা পর্যন্ত স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়নের ( এলজিইডি) প্রায় ৬ কোটি টাকা বরাদ্দের ঐ রাস্তার শ্যামনগর মোড়ের পার্শ্ববর্তী সমান্তরাল রাস্তার উপরেই একটি জায়গাতে প্রায় ১মিঃ গোলাকৃতির বড় একটি ভাংগন দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা গণমাধ্যম কর্মীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে নতুন রাস্তার মাঝ বরাবর ঐ গর্তে ১টি প্রতিকী গাছ রোপন করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
স্থানীয়রা এখন অভিযোগ তুলেছেন,এলাকার ঘরবাড়ি সহ রাস্তাঘাট অধিকাংশ সময়ে পানির নিচে থাকে। নিম্নমানের কাচামালের ব্যাবহারে কাজ শেষ হওয়ার আগেই রাস্তা ভেংগে যাচ্ছে তাহলে এ রাস্তা কিভাবে দীর্ঘদিন টিকে থাকবে! রাস্তাটি পুনরায় নির্মান বা চলমান নির্মানে সংস্কার ছাড়া ভালো কিছুই হবেনা।
পুনরায় তথ্য সংগ্রহে গেলে স্থানীয়রা এ প্রতিবেদকের মাধ্যমে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও উপজেলা প্রকৌশলী শাখার দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানিয়েছেন,যদি রাস্তার চলমান কাজ চলতি অনিয়মের সাথে শেষ করা হয় তাহলে আমরা রাস্তায় নেমে কাজ বন্ধ সহ এলাকাবাসি একতাবদ্ধ হয়ে অনিয়ম প্রতিহত করবো। জনগনের সেবার মান উন্নয়নে সরকারি বরাদ্দকৃত অর্থের নাম মাত্র কাজ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান করেছে কারচুপি! ও এলজিইডি কর্তৃপক্ষের বান্ডেল লেনাদেনায় তাদের নিরবতার কারনে নিম্নমানের কাচামাল দিয়েও পার পেয়ে যাচ্ছে সেবার বদলে ভোগান্তী দেওয়া হারাম খাওয়া ঠিকাদারী সব প্রতিষ্ঠান। তার সাথে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠেছে দেখেও না দেখার ছন্দে থাকা মণিরামপুর উপজেলা প্রকৌশলী(এলজিইডি) শাখার কর্মকর্তারা।
শেষের আগেই ভাংগন হওয়া রাস্তার বিষয়ে স্থানীয় সরকার ও পল্লীউন্নয়ন(এলজিইডি) উপজেলা প্রকৌশলী কর্মকর্তা মোঃ ফয়সাল আহম্মেদ'কে অবগত করলে তিনি জানান,কাজ তো বন্ধই আছে।ভাংগন হলে ঠিকাদার সংস্কার করে দিবে।
সদ্য করা ম্যাগাডাম হতে এখনো বালির প্রলেপ না উঠতেই রাস্তার মাঝ বরাবর কিভাবে ভাংগন দেখা দিলো বা গুনগত কাঁচামাল ব্যাবহার কেনো করা হলোনা ! এ বিষয়ে জানতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিম্নমানের কাজ করা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বনান্তর এন্টারপ্রাইজের পরিচালক ও ম্যানেজারকে একাধিকবার মুঠোফোনে কল করলেও সাড়া দেয়নি কেউ !