
এস এম তাজাম্মুল,মণিরামপুরঃ
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্যালেন্ডারের সাথে ২০২৫ সালে চলছে গোটা বিশ্বের সরকারি/বেসরকারি কার্যক্রম।শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,স্বাস্থ্য বিভাগ সহ দেশের সকল প্রতিষ্ঠান,এমনকি কৃষি কাজের চাষা পর্যন্ত যেখানে ক্যালেন্ডারের পাতার দিন তারিখের নিয়মে চলছে সেখানে একমাত্র প্রতিষ্ঠান আপো হোমিওপ্যাথি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিক্ষার হল পরিদর্শকের স্বাক্ষরে পাওয়া গেছে চলতি ২০২৫ সালের অগ্রিম মাসের (নভেম্বর) পরিক্ষার খাতা।
তথ্য আছে,অত্র প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অনুমতি না থাকায় কয়েকবার নির্বাহী মাজিস্ট্রেট কয়েকবার বিভিন্ন অংকের জরিমানা করলেও সম্পূর্ণ আইন বহির্ভূত ভাবে অজানা কোন শক্তিবলে ভূয়া হোমিও ডাক্তারী সনদপত্র বিক্রির রমরমা অবৈধ ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছেন ভারতীয় এক হোমিওপ্যাথি বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান আপো হোমিওপ্যাথি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিচালক সুশীল কুমার দাস।
গোপন তথ্যের ভিত্তিতে মণিরামপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের অনুসন্ধানী টিমের সদস্যরা তথ্যের সত্যতা যাচায়ে গেলে প্রতিষ্ঠান পরিচালককে না পেলও টিম সদস্যদের করা ভিডিওতে দেখা গেলো নিয়মিত ভাবে পরিক্ষার খাতা দেখে চলেছেন হোমিওপ্যাথি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক ।
উল্লেখ্য,সর্বশেষ গত জুলাইয়ের ২৩ তারিখে জাতীয় তদন্ত সংস্থা এনএসআই সহকারে মণিরামপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমি (সাবেক) নিয়াজ মাখদূম ২০০৯ সালের ভোক্তা অধিকার আইনে ৪৪ ধারায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন ও পরিচালনার বৈধতা না থাকায় প্রতিষ্ঠানটির মালিক সুশীল কুমার দাসকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করেন। সে সময় সিলগালা না করলেও কার্যক্রম বন্ধের মৌখিক নির্দেশ দেন বলে পরদিন(২৪ই জুলাই) বিভিন্ন পত্র পত্রিকাতে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
মণিরামপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের আজকের এ অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে উঠে এসেছে স্থানীয় প্রশাসন ও হাইকোর্টকে অমান্য করে মোটা অর্থের লোভে মণিরামপুর উপজেলার খেদাপাড়া ইউনিয়নের হেলাঞ্চী গ্রামের জৈনক সুশীল কুমার দাস মণিরামপুর সরকারি কলেজের সামনেই ভূয়া ডাক্তারী জাল সনদপত্র বিক্রয়ে মানুষকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য নীতিকে লঙ্ঘন করে চলেছে। প্রাপ্ত ফুটেজে দেখা গেছে,আপো হোমিওপ্যাথি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২০২২ শিক্ষা বর্ষের ৪র্থ সেমিস্টারের প্রাকটিজ অফ মেডিসিন বিষয়ের আগামি মাসের অনুষ্ঠিতব্য (নভেম্বর) ৭ তারিখে উল্লেখ করে পরিক্ষার খাতায় স্বাক্ষর করেছেন এক হল পরিদর্শক।
গোপন তথ্যের সত্যতা পেয়ে উপস্থিত শিক্ষক মলয় কুমার দাসের সাথে গণমাধ্যম কর্মীদের আলাপকালে তাদের জাল সনদের ব্যবসার রমরমা ব্যবসার আসন্ন নভেম্বর মাসের ২০২১-২২ইং শিক্ষা বর্ষের ৪র্থ সেমিস্টার পরিক্ষার প্রাকটিস অপ মেডিসিন বিষয়ের শিক্ষার্থীদের নাম,রোল/রেজিস্ট্রেশন সহকারে পূরনকৃত জমা দেওয়া ১টি খাতা যাচাই চলছে দ্রুত গতিতে।
প্রাপ্ত খাতার পূরনকৃত শিক্ষার্থীদের চলমান প্রাতিষ্ঠানিক রেজিস্ট্রারে পাওয়া গেলো সেমিস্টার ও সনদ বাবদ বিভিন্ন অংকের টাকা জমা নেওয়া হচ্ছে মাস তারিখ উল্লেখ করেই।
অনুসন্ধানী টিম রেজিস্ট্রারের তথ্য নিয়ে কয়েকজন শিক্ষার্থীর সাথে মুঠোফোনে কথা বললে, জাল সনদ কারখানা আপো হোমিওপ্যাথি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে অর্থ বানিজ্যের অভিযোগ করে বসে কয়েকজন শিক্ষার্থী
এদিকে নির্ভরযোগ্য সুত্র বলছে, আইনি প্রক্রিয়ায় উচ্চ আদালতের স্বরনাপন্ন হলেও বৈধতার বিচার বিধানে শাস্তি যোগ্য অপরাধে শনাক্তের পরও সংশোধন না হয়ে একাধিকবার স্থানীয় প্রশাসনকে অমান্য করার গ্যাড়াকলে হাই কোর্টে আটকে আছে মণিরামপুরে প্রকাশ্যে জাল সনদের রমরমা ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান আপো হোমিওপ্যাথি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান মামলার ফাইল।
গায়ের জোরে চালিয়ে যাওয়া কয়েকবার নির্বাহী দন্ডপ্রাপ্ত ঐ প্রতিষ্ঠানের পরিচালক সুশীল কুমার দাসের সাথে মুঠোফোনে এ সমস্ত কিছু জানালে প্রথমেই বলে বসেন,’আমার আর ভালো লাগেনা,কিসের জন্য এসব বলছেন! আপনার কাছে কি বন্ধের কোন নোটিশ আছে! এসিল্যান্ডের কাজ এসিল্যান্ড করেছে,আপনার কাজ আপনি করেন,এসব বিষয়ে আমারে আর কখনো ফোন দেবেন না! অগ্রীম মাসের পরিক্ষার খাতার বিষয়ে প্রশ্ন করাতে সুশীল দাস এই প্রতিবেদক’কে বলেন, কতজন আসলো! সবাই পেয়েছে, আপনার কি ডিমান্ড অফিসে আসেন!
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করা হলে ব্যাবস্থা নিবেন জানিয়েও হয়তো সুশীল দাসের অজানা সেই শক্তির কারনে এখনো পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত তামান্না’কে।