লিটন সরকার রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:
চোর সন্দেহে দু’জন শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করার ঘটনায় ফুসে উঠছে রৌমারীর বিক্ষুদ্ধ জনতা ও শিক্ষার্থী। মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, নিশর্ত মুক্তি ও রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ সেলিম মালিক এর অপসারণ দাবী করে আগামী ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। এনিয়ে দফায় দফায় মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল করছেন স্থানীয়রা। অপরদিকে উপজেলার দাঁতভাঙ্গা বাজার হতে ১২ কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করে বিক্ষোভ মিছিলটি উপজেলায় আসার সময়ে মাঠের ভিটে নামকস্থানে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন রৌমারী থানার পুলিশ।
পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে বিক্ষোভ মিছিলটি রৌমারী উপজেলা চত্বরে এসে জমায়েত হয় এবং বিক্ষোভে ফেটে পড়েন বিক্ষুদ্ধ জনতারা। বুধবার (১৫ অক্টোবর) ১২ টার দিকে উপজেলা প্রশাসনিক কার্যালয়ের সামনে পথ সভায় এই আল্টিমেটামের ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। জানা গেছে, উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের হরিণধরা পূর্বপাড়া গ্রামে ৯ অক্টোবর সুরুত আলীর বাড়িতে চুরি ও অগিকান্ডের্ন ঘটনা ঘটে। পরেরদিন সুরুত আলী বাদী হয়ে রৌমারী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের দেন। পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করার আগেই গত ১৩ অক্টোবর সকালের দিকে হরিণধরা গ্রামের এসএসসি পরীক্ষার্থী সাদ্দাম হোসেন ও অষ্টম শ্রেণী পড়–য়া ছাত্র এনামুল হক সহ ৫ জনকে চুরির ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে তাদেরকে ডেকে নেয় বাদী সুরুত আলীর বাড়িতে।
খবরটি ছড়িয়ে পড়লে গ্রামবাসিরা এগিয়ে আসে এবং পুলিশকে বাধা সৃষ্টি করে। এনিয়ে পুলিশ ও গ্রামবাসির সাথে বাকবিতন্ডতার সৃষ্টি হয়। তথ্য প্রমাণাদি ছাড়াই এনামুল ও সাদ্দামকে আটক করে থানায় আনার ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠে এবং ফুসে উঠে স্থানীয় জনতা। রোকেয়া খাতুন বলেন, তদন্ত না করেই নিরিহ দুইজন ছেলেকে ধরে নিয়ে জেলে পাঠাইছে।
আমরা বারবার ছেড়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করলেও পুলিশ কথা শোনেনি। পুলিশ বাদীর কথায় এসব করছে। আমরা এই ওসির বিচার চাই।এব্যাপারে রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ সেলিম মালিক জানান, আমি সঠিকভাবে তদন্ত করে জড়িতদের বিচার হবে এবং নিদোষীদের নিশর্ত মুক্তির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।