Tuesday, October 14, 2025

মণিরামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ‎১১০ টাকার আল্ট্রা ডাঃ সাইফুদ্দিন নেন ২২০ টাকা

Date:

Share post:

মণিরামপুর প্রতিনিধিঃ

আল্ট্রাস্নো রিপোর্ট! যে রিপোর্টের নাম শতভাগ মানুষ জানে ও বোঝে। গর্ভকালীন সময়ে নারীদের গর্ভের ভিতর বাচ্চার গঠন,স্পন্দন,শাস প্রশ্বাসের অবস্থা নিরুপন সহ কয়েকটি তথ্য এই আল্ট্রাস্নো রিপোর্ট দেখা যায়।

‎স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গেজেট মোতাবেক নরমল ও ভারী ২ ধরনের এ রিপোর্টের বিপরীতে প্রতিটি সরকারি হাসপাতালে গর্ভবতী আল্ট্রাস্নো (নরমাল) রিপোর্ট প্রতি ১১০ টাকা নির্ধারিত থাকলেও যশোরের মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এই আল্ট্রাস্নো রিপোর্ট করতে কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন ধরে নিয়ে আসছে ২২০ টাকা করে।

‎একদিনের তথ্য মোতাবেক,২২ জন গর্ভবতী নারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হতে এই আল্ট্রাস্নো রিপোর্ট করেছেন। তবে তার বিপরীতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের হিসাবে কয়টা উঠেছে এ নিয়ে আছে জটিলতা।কেউই বললেন না সঠিক সংখ্যা,দিলেন না কেউ দেখতে হিসাবের খাতা।

‎মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ল্যাব রুমের তথ্য মোতাবেক, ২য় তলায় স্টোর রুমের সামনেই বামপাশে আল্ট্রাস্নো রুমের সহকারি সুমি’কে (ছদ্মনাম) জিজ্ঞেস করলে সে নিজেও এই প্রতিবদকের স্ত্রীর করা আল্ট্রা রিপোর্ট থেকেও ২২০ টাকা নিয়েছে বলে স্বীকার করেন। এ বিষয়ে হাসপাতালের হিসাবরক্ষক আসমার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ডাঃ সাইফুদ্দিনে’র সাথে কথা বলতে বলেন।

‎আল্ট্রাস্নো বিষয়ে অভিজ্ঞ না হলেও ডাঃ সাইফুদ্দিন নিয়মিত গর্ভবতী নারীদের আল্ট্রাস্নো করে আসছেন এ হাসপাতালে। কেনো ১১০ টাকার রিপোর্ট ২২০ টাকা নেওয়া হয়! বাকি টাকা কোথায় যায়? কে কে পাই তার ভাগ? এসব প্রশ্ন করলে, ডাঃ সাইফুদ্দিন বলেন, ভাই আমি এ বিষয়ে ডাঃ না হয়েও রোগীদের এ সেবা দিয়ে আসছি।আপনার বাকি যা জানার টিএসই(তত্বাবধায়ক) স্যারের কাছ থেকে জেনে নেন।

এ ছাড়াও ডাঃ সাইফুদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে,মহিলা ও পুরুষ ওয়ার্ডের রাউন্ডের পর রোগীদের ফাইল নার্সদের মাধ্যমে ফাইল নিচেই হস্তান্তর করে কম্পানির লোকদের কমিশন খেয়ে অপ্রয়োজনীয় সব ঔষধ রেফারেন্স করেন। তাছাড়াও অন্যান্য ডাক্তার থাকা সত্বেও ডাক্তার সাইফুদ্দিন একক ভাবে আল্ট্রাস্নো রিপোর্ট করে আসছেন। তথ্য আছে,উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তার ও অন্যান্য কর্মচারীদের উপর একক অধিপত্যে বিস্তার করে যাচ্ছে ডাক্তার সাইফুদ্দিন।

‎কথা বলতে গেলে মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তত্বাবধায়ক(টিএসই) মোঃ ফয়েজ আহম্মেদ ফয়সাল নিজেও ১১০ টাকার কথা স্বীকার করে বলেন, আল্ট্রা রুমের পেছনে আরো অনেক খরচ আছে। বেশি তো রিপোর্ট হয়না।চিকিৎসক সংকটের কারনে অতিরিক্ত লোকদের খরচ দিতে হয়।

‎এ ছাড়াও নারীদের কোমলতার সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এই আল্ট্রাস্নো রিপোর্টের বিরুদ্ধে। অনেক গর্ভবতী নারীদের স্বামী ও ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন,গর্ভবতী মহিলাদের জন্য মহিলা ডাক্তার কেনো দেওয়া হয়না। নারীদের সম্ভ্রম রক্ষার্থে পুরুষ ডাক্তারের পরিবর্তে নারী চিকিৎসক থাকা উচিৎ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

spot_img

সম্পর্কিত নিবন্ধ

মণিরামপুরে আন্তর্জাতিক দূর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত

‎মণিরামপুর প্রতিনিধিঃ সমন্বিত উদ্যোগ,প্রতিরোধ করি দূর্যোগ! এ প্রতিপাদ্যকে বাস্তবায়নে সারা দেশের ন্যায় যশোরের মণিরামপুরে আন্তর্জাতিক দূর্যোগ প্রশমন দিবস...

আজ ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হল বিজয়া সম্মেলনী

কলকাতা থেকে নিউজ দাতা মনোয়ার ইমাম: আজ দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের বিষ্ণুপুর এর আমতলায় জেলা...

রৌমারীতে ক্লাস চলাকালিন সময়ে শিক্ষার্থীদের নিয়ে মানব’বন্ধন

লিটন সরকার রৌমারী কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : রৌমারী উপজেলার বাইটকামারী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ক্লাস চলাকালিন সময়ে মানববন্ধন করানোর...

বগুড়ায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির মাধ্যমে সবুজ বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার

বগুড়া জেলা প্রতিনিধিঃ বগুড়া সদর উপজেলার বারুইপাড়া এলাকায় “বারুইপাড়া সোনালী উন্নয়ন সংঘ”-এর উদ্যোগে “বৃক্ষ বিতরণ অনুষ্ঠান ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার...