
মোঃ ওয়াজেদ আলী, স্টাফ রিপোর্টার:
দীর্ঘদিন বৃষ্টির অভাবে দুশ্চিন্তায় থাকা যশোরের আমন ও বোরো ধান চাষিদের মুখে এখন স্বস্তির হাসি। সম্প্রতি রবি ও সোমের বৃষ্টিতে প্রাণ ফিরে পেয়েছে খরায় শুকিয়ে যাওয়া ধানের চারা।
বৃষ্টির আগে বিভিন্ন গ্রামে শিরনি ও বিশেষ দোয়ার আয়োজন করেছিল কৃষকরা। শুধু ধান চাষের জমিই নয়, প্রকৃতিও তীব্র খরতাপে রুক্ষ হয়ে উঠেছিল। তবে দুই দিনের টানা বৃষ্টিতে ফসলি জমি সজীব হয়ে উঠেছে, ধানের চারা পেয়েছে নতুন প্রাণ।
সদর উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের কৃষক ইনসান আলী বলেন, “বৃষ্টির জন্য আমরা দোয়া করেছিলাম। আল্লাহর রহমতে বৃষ্টি হয়েছে। এখন আর পানির জন্য টেনশন করতে হবে না। ধানের চারা দ্রুত বড় হবে।
একই গ্রামের কৃষক ওমর আলী জানান, এবছর শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় ফসলি জমি শুকিয়ে গিয়েছিল। খাল-বিলে পানি থাকলেও উঁচু মাঠে পাওয়া যাচ্ছিল না। বৃষ্টি হওয়ায় গাছপালা ও ফসলের জন্য উপকার হয়েছে।
স্থানীয় কৃষক ইসলাম বলেন, “বৃষ্টি না হলে সেচের জন্য অনেক টাকা খরচ করতে হতো। এখন সেই খরচ বেঁচে যাবে। তাছাড়া খরায় বাড়তি পোকামাকড়ের উপদ্রব হয়েছিল, বৃষ্টিতে সেগুলোও কমে যাবে।
রামনগর ইউনিয়নের কৃষি কর্মকর্তা জানান, এলাকার মানুষের প্রধান জীবিকা কৃষি। সময়মতো বৃষ্টি হওয়ায় এ মৌসুমে বোরো ধানের ভালো ফলন আশা করা যাচ্ছে। ইতোমধ্যেই আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা পূর্ণ হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বোরো ধানকে ঘিরেই কৃষকেরা নতুন বছরে বৈশাখী উৎসবের স্বপ্ন দেখেন। এবারের বৃষ্টি উৎপাদন বাড়াবে বলে আমরা আশাবাদী।