ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা ভূমি অফিসে চরম জনবল সংকট দেখা দিয়েছে। জনবল সংকটে উপজেলার বসবাসকারীদের নামজারি ও মিসকেস মামলা নিষ্পত্তির মত জনগরুত্বপূর্ণ কাজে জটিলতা তৈরি হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কালীগঞ্জ ঝিনাইদহের অন্যতম গতিশীল একটি উপজেলা।
এ উপজেলা শহরের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া যশোর- ঢাকা মহাসড়কটির ৬ লেনে প্রকল্পের কাজ চলছে। চলছে চিত্রা নদীর উপর অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদসহ নানা উন্নয়ন কার্যক্রম। ভূমি অফিসে প্রতিমাসে ১৫০০ এর মত নামজারি ও মিসকেস মামলা নিষ্পত্তি করতে হয়। পাশাপাশি ৬ লেন প্রকল্পের অর্ডার শিট, মিসকেস জনিত কাজের চাপ দ্বিগুণ। কিন্তু ব্যস্ত এ দপ্তরের প্রধান সহকারী, নাজির, সায়রাত সহকারী, ডাটা এন্ট্রি অপারেটরসহ ৭ টিপদ শুন্য। মাত্র দুইজন অফিস সহকারী নিয়ে চলছে সব ধরনের সেবা কার্যক্রম। এমতাবস্থায় স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
কালীগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শাহিন আলম ২০২৪ সালের ২২ এপ্রিল যোগদনের এক বছরে ১৩ হাজারের বেশি মামলা নিষ্পত্তি করেছেন।
এ সময়ে প্রায় ১৫ হাজারের বেশি নামজারি এবং ১০ বছর পর্যন্ত ঝুলে থাকা এক হাজারের বেশি মিসকেস মামলা নিষ্পত্তি করেছেন। ৩৮ তম বিসিএস এর কর্মকর্তা। এসিল্যান্ড হিসেবে কালীগঞ্জ তার প্রথম কর্মস্থল। নামজারি নিষ্পত্তির সরকার নির্ধারিত সময়সীমা ২৮ দিন এবং মিসকেস এর ক্ষেত্রে ৯০ দিন। ২০১৬ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এক হাজারের মত মিসকেস ঝুলে ছিল। এক বছরে সে সকল মামলা নিষ্পত্তি করেছেন তিনি।
কালীগঞ্জ পৌর এলাকার কাশিপুর গ্রামের ঘনু মন্ডল জানান, আমি একটি নামজারির জন্য আবেদন করেছিলাম। আবেদনের ১০ দিনের মধ্যে আমার কাজ হয়ে যায়। অল্প সময়ে কাগজ হাতে পাওয়ায় ব্যাপারটি আমার কাছে স্বপ্নের মতো মনে হয়েছিল।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শাহিন আলম বলেন, 'জনবল সংকট থাকলেও সেবা কার্যক্রমে কোনো ত্রুটি রাখা হচ্ছে না। অতিরিক্ত পরিশ্রম হলেও সাধারন মানুষ যেন হয়রানির স্বীকার না হয় সে বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। জনবল সংকটের বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। আশা করি দ্রুতই সমাধান হবে।
তিনি আরো বলেন,আমি কালীগঞ্জকে ভূমি সেবার একটি রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে যেতে চাই। ভূমি সেবাই স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ ও হয়রানি দূরীকরণ আমার প্রধান লক্ষ্য।
জনগণের হয়রানি দূরীকরণ, অফিসের সৌন্দর্য বৃদ্ধিকরণ ও কর্মপরিবেশ উন্নয়নে ইতোমধ্যে বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছি, যা দৃশ্যমান ।