
এস এম তাজাম্মুল,মণিরামপুরঃ
মণিরামপুর উপজেলার জলাবদ্ধতায় নিমজ্জিত অঞ্চলের চিনেটোলা হতে নেহালপুর সড়কের কোনাখোলা বাজার পর্যন্ত একটি মাত্র পাকা রাস্তার চলমান কাজে অনিয়মের অভিযোগের ভিত্তিতে মণিরামপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে কয়েক গ্রামের মানুষের যোগাযোগ সড়ক নির্মানে শোচনীয় দুরবস্থার তথ্য চিত্রে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান চাচড়ার বনান্তর এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আবু সাঈদ ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের মণিরামপুর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি)কর্মকর্তা মোঃ ফায়সাল আহম্মেদ সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অর্কাষ্টন কপিল, হিসাব রক্ষক মুক্তার হোসেনসহ কর্মকর্তাদের তথ্য গোপনের দৃশ্যমান ফুটেজ মোতাবেক দক্ষিনাঞ্চলের জনপ্রিয় দৈনিক যশোর বার্তা সহ কয়েকটি স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিকে “মণিরামপুরে জলাবদ্ধ অঞ্চলে রাস্তা নির্মানে অনিয়মের অভিযোগ শীর্ষক সংবাদ প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসেছে স্থানীয় সরকারের যশোর জেলা প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি)।
এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি কাজ করছে বলে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত তামান্না ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের যশোর জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী(এলজিইডি) আহমেদ মাহবুবুর রহমান।
পাশাপাশি গনমাধ্যম কর্মীর তথ্য চেয়ে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা প্রকৌশলী ফয়সাল আহম্মেদের তথ্য না দেওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যাবস্থার নেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছেন।
গত সপ্তাহে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রিক মিডিয়াতে প্রচারিক সংবাদ মোতাবেক,যশোরের মণিরামপুর উপজেলার ১৪নং দূর্বাডাংগা ইউনিয়নের একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম চিনেটোলা বাজার হতে কোনাখোলা বাজার পর্যন্ত দীর্ঘ ৮ কিঃমিঃ রাস্তা নির্মানে মণিরামপুর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) শাখার বে-খেয়ালী তত্ত্বাবধানে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান যশোর চাচড়া এলাকার বনান্তর এন্টারপ্রাইজের বিরুদ্ধে একাধিক কারচুপি ও তড়িঘড়ি কাজের অভিযোগ উঠেছে।
নিম্নমানের ইটের খোয়া,হলুদ রংয়ের খোয়ার সাথে পুরাতন কার্পেটিংয়ের মিক্সার,কোথাও কোথাও কাদামাটির মিশ্রণ,যত্রতত্র ডলেঘষে উপরে ৩” (ইঞ্চি) বালির প্রলেপ,ত্রুটিপূর্ণ কাজে তড়িঘড়ি সহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বনান্তর এন্টারপ্রাইজের বিরুদ্ধে।
আশ্চর্য্য জনক বিষয় হলো সরেজমিনে সাধারন মানুষের অভিযোগ,কর্তৃপক্ষের কাজ ও নিম্নমানের কাচামালের চিত্র পাওয়া গেলেও উপজেলা প্রকৌশলী(এলজিইডি) কর্মকর্তা এবং ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের দাবী স্বচ্ছতা রেখে কাজ চলছে। এদিকে এলকাবাসী ক্ষোভ জানালেও স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহলকে ম্যানেজ করে দ্রুততার সাথে কাজ করে চলেছে কর্তৃপক্ষ।
সবচেয়ে বেশি লক্ষনীয় সমস্যা চিনেটোলা বাজারের দূর্বাডাংগা রোড হতে নেহালপুর পর্যন্ত সড়কের ২ পার্শে দিয়ে ১ হতে ৩ মিটারের মধ্য অস্যংখ্য পুকুর,ঘের থাকলেও চোখে পড়েনি কোন গাইডল/প্যালাসেটিংয়ের গাথনী বা পিলার। এদিকে এলজিইডির সংস্কার আইন ও সওজের(সড়ক ও জনপদ) রাস্তা নির্মান বিধীমালায় পরিষ্কার লেখা আছে জনগনের সুবিদার্থে পাকা রাস্তা করনে কোন রকম কারচুপি এবং খামখেয়ালীর সত্যতা প্রমানিত হলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল সহ অর্থদন্ড প্রদান করা হবে।
সন্দেহ বসত সাংবাদিক সদস্যরা,কোনাখোলা বাজার হতে চিনেটোলা অভিমুখে বেশ কয়েকটি স্থান থেকে খোয়ার স্যাম্পল নিয়ে মণিরামপুর উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ে গেলে উপজেলা(এলজিইডি) কর্মকর্তাকে না পাওয়া গেলে সহকারি ইন্জিনিয়ার(এসও) মোঃ খালেকুজ্জামান ও হিসাব রক্ষক মুক্তার হোসেনের কাছে কাজের নিম্নমান নিয়ে কথা বলতে গেলে মুক্তার হোসেন সাংবাদিকদের হেনস্থার চেষ্টা করেন। উল্লেখ্য,সাংবাদিকদের সংগ্রকৃত নিম্নমানের ইটের খোয়ার স্যাম্পল মণিরামপুর উপজেলা প্রকৌশলী শাখার সহঃইন্জিনিয়ার মোঃ খালেকুজ্জামানের কাছে হস্তান্তর ও নিজেদের সংগ্রহে রেখেছেন।
এ বেপারে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের যশোর জেলা প্রকৌশল (এলজিইডি) কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আমলে নিয়ে খতিয়ে দেখার জন্য তদন্ত চালাচ্ছে । ল্যাব টেস্ট সহ কয়েকটি বিষয়ে খতিয়ে দেখা হবে!এমনটাই জানিয়েছেন যশোর জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী (এলজিইডি) আহমেদ মাহাবুবুর রহমান।