
মণিরামপুর প্রতিনিধিঃ
যশোরের মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাপের বিষক্রিয়া নিরোধ ‘স্নেক ভেরিয়াম এন্টিসিরাম আই.পি’ ( এন্টিভেনম) জনস্বার্থে দ্রুত সময়ে সরবারাহ করায় বর্তমানে উপজেলা ব্যাপী প্রশংসায় পঞ্চমুখ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত তামান্না।
উল্লেখ্য,গত রবিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ৩টার দিকে মণিরামপুর পৌরশহরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন বাধাঘাটায় ১টি ভাড়া বাড়িতে ঘুমন্ত অবস্থায় ৪ বছরের আজিম ও ১০ বছরের হালিমাকে (কালাচ) সাপ কামড় দিলে তাদের মা ছেলে আজিম,মেয়ে হালিমাকে মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে ডাঃ না পেয়ে সদর হাসপাতালে যাওয়ার পথে শিশু আজিমের মৃত্যর ঘঠনায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিরুদ্ধে সেবা না দেওয়ার অভিযোগের তীর ছুড়ে দেয় ভুক্তভোগী পরিবার সহ সাধারণ জনগনের উপজেলা বাসীর বৃহৎ একটি অংশ।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তত্বাবধায়ক ফয়েজ আহম্মেদ ফয়সাল জানান,হাসপাতালে কোন সাপে কাটা রোগী ঐদিন আসেনাই বরং ১টা এন্টিভেনম ছিলো বলে তিনি দাবী করেন ।
দোষারোপের তোপে ও মণিরামপুর উপজেলা সহ সারা দেশে কমনক্রেট বা বিষধর কালাচ সাপের প্রদুর্ভাব দেখা দেওয়ায় পরেরদিন বৃহঃবার(৩ সেপ্টঃ) সাপে কাটা রোগীর প্রতিশেধক হিসাবে মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সার্বিক সহযোগিতায় বিশেষ বরাদ্ধে ২০টি এন্টিভেনম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হস্তান্তর করা হয় বলে জানা গেছে।
তড়িৎ গতিতে এন্টিভেনম সরবারহ করায় উপজেলা ব্যাপী জনসাধারনের ভূয়সী প্রশংসার বিভিন্ন মন্তব্যে ভারী হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্লাটফর্ম।
এ বিষয়ে একান্ত স্বাক্ষাতকারে মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত তামান্না বলেন,সাধারণ জনগনের সেবার মান শতভাগ পৌছে দেওয়ার চেষ্টা করছি। বিষাক্ত সাপের কামড়ে যে ৪ বছরের আজিম শিশুটি মারা গেছে সে কোন না কোন মায়ের সন্তান।
নিতান্ত মণিরামপুরে সাপের কামড়ে আর কোন মায়ের বুক যেনো খালি না হয়। উপজেলাবাসীর উদ্দেশ্য তিনি জানান,সাপের কামড়ে কোন কবিরাজ বা উঝা নই সরাসরি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসুন।