
মোঃ ওয়াজেদ আলী, স্টাফ রিপোর্টার:
সরকারি কোন নিয়ম-নীতি তোয়াক্কা না করে যশোরের সতীঘাটা ভ্যাবতীপুর মহিলা দাখিল মাদ্রাসার সুপার রবিউল ইসলাম প্রতিষ্ঠানের বড় ১টি
রেন্টি গাছ অভিনব কায়দায় কর্তন করা হয়েছে। এ ঘটনা প্রত্যক্ষ করার পর এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে।
সরে জমিনে গিয়ে দেখা যায়, যশোর সদরে ১৪ নং নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত উক্ত মাদ্রাসার চত্বরে বড় একটি রেন্টি গাছ কাটা অবস্থায় পড়ে আছে। এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের জমি দাতা সদস্য মুসা কালী বিশ্বাস জানান, ১৯৮৭ সালে মাদ্রাসা স্থাপিত হয়, তবে “মাদ্রাসাটি প্রায় দশ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। হঠাৎ সুপার রবিউল ইসলাম আমাকে ডেকে বলেন, এই গাছ কেটে মাদ্রাসার আসবাবপত্র তৈরি করতে হবে। আমি মাদ্রাসার নামে এই জমি দিয়েছি এবং গাছটি ও আমি নিজেই লাগিয়েছি। তবে গাছ কর্তন করতে হলে সরকারি অনুমোদন ও বৈধ কাগজপত্র থাকা প্রয়োজন। তা ছাড়া অনুমতি দেওয়া যায় না। এ ঘটনা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে মাদ্রাসার সুপার রবিউল ইসলাম ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে বিভিন্ন মহলের দৌড়ঝাপ করতে দেখা যায়। এ বিষয়ে ইউপি সদস্য হযরত আলী বলেন, প্রতিষ্ঠানের সুপার রবিউল ইসলাম গাছ কাটার কোন কর্তৃপক্ষের হল বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারে নাই। তিনি আরো বলেন, দীর্ঘ কয়েক বছর মাদ্রাসাটি বন্ধ রয়েছে এবং মাদ্রাসার কমিটি বা স্থানীয় কাউকে না জানিয়ে প্রতিষ্ঠানের গাছ কর্তন করাটা ঠিক হয়নি। এ দিকে
গাছ কাটার সঙ্গে জড়িত রুস্তম আলী ও শহিদুল ইসলাম বলে, আমাদেরকে ৩–৪ দিন ধরে বাজারে ডেকে নিয়ে সুপার বলেন, গাছটি কাটতে হবে। ডালপালা বিক্রি করে আমরা যেন শ্রমের টাকা তুলে নিতে পারি।
ঘটনাটি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসীর মধ্যে নানা প্রশ্ন ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তারা অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা একটি প্রতিষ্ঠানের সুপার কীভাবে সরকারি অনুমতি ছাড়া এভাবে গাছ কাটতে সাহস পেলেন? এলাকাবাসীর ভাষ্য, “মাদ্রাসার সুপার রবিউল ইসলামের খুঁটির জোর কোথায়?
স্থানীয়রা এ বিষয়ে তদন্তপূর্বক যথাযথ কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।