মণিরামপুর প্রতিনিধি:
যশোর মণিরামপুরে প্রাচীরের পাশে ভ্যান রাখতে নিষেধ করায়, বাড়ির মালিকের উপরে হামলায় নারী সহ আহত হয়েছেন একই পরিবারের চার জন।এবিষয়ে আহত রথীন্দ্রনাথ মন্ডল (৫৫), পিতা-মৃত নিমাই চন্দ্র মন্ডল,বাদী হয়ে ১। জগদীস চন্দ্র মন্ডল (৩৭), পিতা-সুপদ মন্ডল, ২। মাস্টার শীতল মন্ডল (৫৬), পিতা-মৃত ফকির মন্ডল, ৩। ইন্দ্রজিৎ মন্ডল (৩৪), পিতা-সুপদ মন্ডল, ৪। সুপদ মন্ডল (৫৮), পিতা-মৃত ফকির মন্ডল, ৫। ইতিকা মন্ডল (২৭) স্বামী- জগদীস চন্দ্র মন্ডল, সর্ব সাং-হরিনা, থানা-মণিরামপুর,একটি অভিযোগ করেন। অভিযোগে উল্লেখ থাকে আমার ও বিবাদীদের বাড়ি পাশাপাশি। ০৩নং বিবাদী ভ্যান আমার প্রাচীরের নিকট ভ্যান রাখিয়া বিভেদ,তৈরি করে ঝগড়া করার চেষ্টা করে।
সর্বশেষ আজ ভ্যান রাখতে নিষেধ করলে আমার প্রাচীর ভাঙচুর করার চেষ্টা করে।আমি বাঁধা দেওয়ায় ২৩শে আগস্ট সকাল অনুমান ৯টার সময় আসামীরা হাতে ধারালো দা, লোহার রড, তালের হাক নিয়া আমাদের উপরে হামলা চালাই।এতে আহত হয়েছে গুরুত্ব সুদীপ্ত মন্ডল (৪৫), সুধারানী মন্ডল (৭০),মুরারী মন্ডল (২১), রথিন্দ্র নাথ মন্ডল(৫৫)।এবিষয়ে অভিযোগ অস্বীকার গিয়ে জগদীশ মন্ডল জানায়।তাদের প্রাচীরের গায়ে ভ্যান রাখা কে কেন্দ্র করে একটি বিভেদ তৈরি হয়,তারা আমার উপরে বাস নিয়ে আঘাত করলে আমার মাথা ফেটে যায়।তাদের কেউ আহত হয়নি তারা হসপিটালে ভর্তি হয়ে নাটক করছে।
এদিকে গুরুত্ব আহত নিমাই সুদিপ্ত মণ্ডলের মাথার আঘাত লাগায় এখনো মণিরামপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।কর্মরত ডাক্তার জানিয়েছেন, তার মাথার ক্ষতটা ঝুঁকিমুক্ত হলেও,তাকে বেডরেস্টে থাকতে হবে ১ মাস,এবং আরো একজনের হাতে আঘাত লাগায় হাতের হাড় ভেঙে গেছে,বাকি দুজনের চাপা আঘাতের কারণে সাময়িক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।
এবিষয়ে মণিরামপুর থানায় অভিযোগের বিষয়ে মণিরামপুর থানা ইনচার্জ (ওসি) বাবলুর রহমান খান জানায়, আমরা অভিযোগ পেয়েছি,বিষয়টি তদন্ত মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।