
এস এম তাজাম্মুল,মণিরামপুরঃ
অনুসন্ধানী প্রতিবেদন:
দেশ থেকে গত জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে সৈরা শাসক শেখ হাসিনার জাহেলি যুগ হতে মুক্ত হয়েছে বাংলাদেশের ২০ কোটি জনগন।
চলমান পরিস্থিতিতে সারাদেশের আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতির চিত্র বিভিন্ন গনমাধ্যমের মাধ্যমে সাধারন মানুষ ইতিপূর্বে দেখতে পেরেছে। চোখের আড়ালের ঘঠনার অভিযোগ,তার সত্যতা যাচায়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে জেলা উপজেলা পর্যায়ের অসামাজিক ও আইন বহির্ভূত পর্দার আড়ালের বিভিন্ন ঘঠনা শুনে অনেকের গায়ের লোমও দাড়িয়ে যায়।
এমনই এক লোমহর্ষক ঘঠনার তথ্য উঠে এসেছে আজকের এই অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে।
দেশব্যাপী গুম,খুন,ব্যাভিচার,ধর্ষণ,নীপীড়ন সহ বিভিন্ন অরাজকতার অবসান হলেও যশোরের মণিরামপুর পৌরশহরের জুড়ানপুর গ্রামের বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের স্থানীয় আ’লীগ নেতা সাবেক কাউন্সিলর মোঃ কুদ্দুস আলীর ক্ষমতার দাপটে জৈনক কাঠ ব্যাবসায়ী মোঃ মুনসুর মোড়ল নামের এক নরপশু দীর্ঘ ১২ বছর যাবত তাহেরপুর আকরাম মোড়ের স্বামী পরিত্যাক্তা মরিয়াম ও তার মেয়ে সুন্দরীকে(১৯) (ছদ্দনাম) জিম্মি করে দেহ ভোগ ও লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
তথ্য মোতাবেক,২০১১ সালে জুড়ানপুর গ্রামের ঐ কাঠ ব্যাবসায়ী তাহেরপুর আকরাম মোরের স্বামী পরিত্যাক্তা নারীকে বিয়ের পর থেকে এ পর্যন্ত যশোর জেলা প্রশাসক,মণিরামপুর থানা অফিসার ইনচার্জ,যশোর র্যাব-৬,মহিলা সংস্থা সহ কয়েকটি দপ্তরে আইনি সহায়তার জন্য অভিযোগ করলেও ফ্যাসিস্টদের চক্রান্তে ভুক্তভোগীরা এখনো পর্যন্ত পাইনি কোন সেবা। স্থানীয় আ”লীগ নেতা কুদ্দুস আলীর একন্ত সহযোগী মোঃ শফিয়ার রহমান(শফি) কাঠ ব্যাবসায়ী মুনসুরের আরেক বউয়ের ছেলে হওয়ায় আ’লীগ আমলে কয়েকবার স্থানীয়ভাবে বসাবসি হলেও ক্ষমতা ও অর্থের জোরে বারবারই পার পেয়ে এখনো ভুক্তভোগী মরিয়াম এবং তার মেয়েকে হুমকি-ধমকি দিয়ে চলেছে জুড়ানপুর গ্রামের কাদের মোড়লের প্রায় ৬০ বছর বয়সী কু-পূত্র মুনসুর সরদার।
্ভুক্তভোগীর দাবী, স্তীর মর্যাদা দূরের কথা! সময় অসময়ে চিকিৎসা,ব্যাবসা সহ নানান সব বাহানা দিয়ে এ পর্যন্ত ৬ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে মুনসুর।এখানেই শেষ না! মুনসুরের লোলুপ দৃষ্ঠির জাতাকলে ফেলে মরিয়ামের নিজের মেয়েকে কুপ্রস্তাব দিয়ে ব্যার্থ হয়ে আকরাম মোড়ের মরিয়ামের মেয়েকে একা পেয়ে মুনসুর সরদার মিটিয়েছে তার পশু চরিত্রের নারকীয় ক্ষুধা।
তথ্য সংগ্রহ কালে ভুক্তভোগীর রেকর্ডকৃত ভিডিওতে জানা যায়,হঠাৎ মরিয়ামের অনুপস্থিতিতে তার বাড়িতে মেয়েকে একা পেয়ে মুনসুরের হিংস্র পশুর আক্রমণে দেওয়া মেয়েটির শরীরের মুখমন্ডল সহ অগনতি কামড়ের লজ্জা নিয়ে আত্মহত্যাও করতে গেছিলো মেয়েটি।
তথ্য অনুসন্ধানে গেলে, পৌরশহরের জুড়ানপুর গ্রামে গেলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় যুবক জানান আ’লীগ শাষনামলে কাউন্সিলর কুদ্দুসের ক্ষমতার প্রভাবে মুনসুর ও তার ছেলো শফি নারী কেলেংকারী, অর্থ আত্মসাৎ,জবরদখল সহ বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম করেও ৫ই আগষ্টের পর বর্তমানে এলকার প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে এখনো পর্যন্ত বহাল তবিয়তে মুনসুর ও তার ছেলে শফি গোপন কোন ক্ষমতাবলে দৌরাত্ম বিস্তার করে চলেছে!
ভুক্তভোগীও অভিযোগে বলেছেন,প্রতিরাতে মুনসুরের ভয়ে ঘুম না পড়তে পারলেও বালিশে মাথা রেখে পাখির ডাক শোনা পর্যন্ত ঘরে শুয়ে থাকি।কখন জানি,মুনসুর তার দলবল নিয়ে এসে নতুন কোন ফাঁদ পেতে টাকা দাবি করে! তিনি আরো অভিযোগ করেন, এই তো সেদিন হাসিনা সরকার পতনের পরও বাজারে মারধর করে রাতে বাড়িতে এসে ভয়ভীতি দেখিয়ে ২ লক্ষ টাকাও নিয়ে গেছে মুনসুর ও তার দলবল।
২০১১ সালের বিয়ের কাবিন নামা,আদালতের চলমান মামলা ও ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত জৈনক কাঠ ব্যাবসায়ী মুনসুর মোড়লের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার মায়ের অসুস্থ্যতার কথা জানিয়ে হাসপাতালে আছেন বলে জানান।তবে,এ বেপারটি আবারো ধামাচাপা দিতে বিভিন্ন মহলে দৌড়ঝাঁপ সহ নানান সব মিথ্যাচার করে চলেছে বিকৃতমনা মুখোশধারী মুনসুর এবং কয়েকজন মুস্টিমেয় লোকের অর্থ লোভী সিন্ডিকেট।
আইন ও প্রশাসনের পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি দের সহযোগিতা না পেয়ে ভুক্তভোগী মরিয়াম এখন প্রতিনিয়ত ভয়কে মনে ধরেই এক মানবসৃষ্ট ভৌতিক পরিবেশে একাই বসবাস করে আসছেন।সাথে সাথে তার বাড়ির জমি সংক্রান্ত বেপারেও মুনসুর আশপাশে লোকবল নিয়োগ দিয়ে রেখেছে মরিয়ামকে ভূমিহীন করে উচ্ছেদ করার পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী মণিরামপুর পৌরসভার তাহেরপুর আকরাম মোড়ের স্বামী পরিত্যাক্তা মহিলা মরিয়াম।
মণিরামপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ বাবলুর রহমান খানের সাথে এ বেপারে যোগাযোগ করা হলে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হবে বলে স্পষ্ট জানান দেন যে, আইনের উর্ধে কেউ না সত্যতা প্রমাণিত হলে দোষীকে আইনের আওতায় আনা হবে।