
রাইসুল ইসলাম প্রতিনিধি যশোর:
সরকারি নিষিদ্ধ ব্যথানাশক ট্যাবলেট ট্যাপেন্টাডলের বিস্তার যশোরে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বহনে সহজ ও কম দামের কারণে হেরোইন ও ফেনসিডিলের বিকল্প হিসেবে মাদকসেবীদের কাছে এর চাহিদা বাড়ছে। শহরের চিত্রা মোড়সহ কয়েক ডজন স্পটে সংঘবদ্ধ চক্র অবাধে বিক্রি করছে এই মাদক, এমনকি কিছু বিতর্কিত ফার্মেসিতেও গোপনে চলছে বেচাকেনা।
২০২০ সালে ‘খ’ শ্রেণির মাদক হিসেবে ঘোষণার পরও সীমান্তপথে ভারত থেকে ট্যাপেন্টাডল পাচার হচ্ছে বলে অভিযোগ। সম্প্রতি যশোর জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে কয়েকটি চালান জব্দ হলেও, জব্দের তুলনায় বিক্রি ও সেবন কয়েকগুণ বেশি বলে জানা গেছে।
উঠতি বয়সী তরুণ, রিকশাচালক, পরিবহন শ্রমিকসহ নানা শ্রেণির মানুষ এটি সেবন করছে ‘ঘোর’ পাওয়ার জন্য। প্রতিটি ট্যাবলেট ৮-১০ টাকায় আমদানি হলেও খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। দীর্ঘমেয়াদে সেবনে স্নায়ু দুর্বলতা ও অন্যান্য মারাত্মক শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়।
মাদকবিরোধী সংস্থাগুলো জানিয়েছে, ট্যাপেন্টাডল দমনে নজরদারি ও অভিযান আরও জোরদার করা হবে এবং সীমান্তপথসহ শহরের বিভিন্ন সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।