
এস এম তাজাম্মুল,মণিরামপুরঃ
কয়েক দিন আগের টানা ভারী বর্ষনে যশোরের মণিরামপুর উপজেলার ভবদাহ এলাকা সহ কয়েকটি গ্রামের মানুষ পানিবন্দী হয়ে এক দূর্বিষহ দিন পার করছে। উপজেলার ১৫নং কুলটিয়া ইউনিয়নের বেশকিছু গ্রামে এখনো পর্যন্ত মানুষের বাড়ির উঠান আর মাঠের পানির অবস্থা অপরিবর্তিত। মাঠের ফসল,মাছের ঘের,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সবই এখন পানির নিচে। নিজের ঘরে পানি উঠাতে অনেকে আত্বীয়দের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে,প্রতিটি বাড়িতেই ঘরে ঢোকা ও বাইরে বের হতে গেলে এক বাশের সাকো ও ডুঙ্গা একমাত্র অবলম্বন। জলাবদ্ধ এলাকার প্রতিটি পরিবারের অর্থের উৎস এখন ভবদাহের কারনে সংকটাপন্ন!
তথ্য আছে,গৃহপালিত পশু অনিরাপদ ও অর্থ প্রয়োজনে পানিবন্দীরা লোকসানেও বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বন্ধ পাঠদান,জলাবদ্ধতার কারনে স্বাস্থ্য ঝুঁকির পাশাপাশি শুকনো খাবারের সংকট দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধ এলাকায়। পানিবন্দী মানুষের সংকটময় সময়ে ৫০টি পরিবারের জন্য কয়েক প্রকার মিলিয়ে শুকনো খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছে মণিরামপুর উপজেলা প্রশাসন।
তথ্যনুযায়ী,বুধবার বিকাল হতে ১৫নং কুলটিয়া ইউনিয়নের ৫০টি পরিবারের প্রতিটি পরিবার প্রতি চাউল ১০ (দশ) কেজি,দেশী মশুর ডাল,০১ (এক) কেজি খাওয়ার লবন ০১ (এক) কেজি,চিনি ০১ (এক) কেজি,ভোজ্য তেল (সয়াবিন তেল) ১ (এক) লিটার,মরিচের গুঁড়া ১০০ (একশত) গ্রাম, হলুদের গুঁড়া ২০০ (দুইশত) গ্রাম, ধনিয়া গুঁড়া ১০০ (একশত) গ্রাম এ সমস্ত পণ্যের একটি প্যাকেজ উপস্থিত থেকে বিতরণ করেন মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত তামান্না।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন মণিরামপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমি নিয়াজ মাখদূম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম,ইউপি সদস্য ও গ্রাম পুলিশ সদস্যরা।
সর্বোমট ৫০টি পরিবারের মাঝে আজ(১৩ আগষ্ট) সন্ধায় শুকনো খাবার সরবারহ করা হয়েছে উপজেলার কুলটিয়া ইউনিয়নে,পাশাপাশি এ ভোগান্তি দূর না হওয়া পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে জলাবদ্ধ সমস্ত এলাকায় খোজ খবর নেওয়া হবে বলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত তামান্না।