
মনিরামপুর প্রতিনিধি:
মণিরামপুর উপজেলার কুলটিয়া ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামের রণজিৎ কুমার বিশ্বাস এর পুত্র অপূর্ব কুমার বিশ্বাস।
তিনি ২০০৪ সালে সাবেক আওয়ামী লীগের এমপি খান টিপু সুলতানের হাতধরে কুলটিয়া ইউনিয়ন যুবলীগে ঠাঁই পাই।খান টিপু সুলতানের ক্ষমতাবলে চাঁদাবাজি, ঘেরদখল করিয়ে দেওয়া এবং,মামলা চলমান জমি জোরপূর্বক দখল করিয়ে দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে অভিযোগ রয়েছে । ২০০৭/২০০৮/২০০৯/সর্বশেষ ২০১২ সালে বিএনপি, জামাতের একাধিক নেতার নামের তালিকা করে পুলিশ দিয়ে উঠিয়ে দিতেন অপুর্ব বিশ্বাস।
চাঁদাবাজির অভিযোগের ভিত্তিতে ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটি থেকে নামমাত্র বহিষ্কার হয় অপুর্ব বিশ্বাস।মূলত অপুর্ব বিশ্বাস ছিল কুলটিয়া ইউনিয়নের চাঁদাবাজির টাকার সোনার ডিম। ২০১৪ সালে স্বপন ভট্টাচার্যের ঘাড়ে উঠে কলস প্রতীকের নির্বাচনের মাধ্যমে ঘের দখল করিয়ে দেওয়া সন্ত্রাসী থেকে পদোন্নতি হয়ে,ঘেরের মালিক হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হয় তার।
২০১৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত কুলটিয়া, নেহালপুর, মশিহাটী ইউনিয়নের জামাত,বিএনপির নেতা কর্মীর নামে মিথ্যা নাশকতার মামলায় ভয় দেখিয়ে হাতিয়ে অর্থ নেওয়ার অভিযোগ অপুর্ব বিশ্বাস এর বিরুদ্ধে।সর্বশেষ, ২০২৪ এর সংসদ নির্বাচনে এসএম ইয়াকুব আলির ঈগল প্রতীকের পক্ষে মহানায়ক এর ভূমিকায় ইউনিয়নের প্রধান এজেন্ট হিসাবে কাজ করেছেন তিনি।এসএম ইয়াকুব আলির মাধ্যমে, গোবরডাংগা,আলিপুর,নেহালপুর মৌজার দেড়শত বিঘা মৎস্য ঘের তার একক নামে নিতে সক্ষম হয়।
সর্বহাটের কাঁঠালিকলা অপুর্ব বিশ্বাস ২০২৪ এর ছাত্র জনতার আন্দোলনের পর শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ায় প্রায় দুই মাস আত্মগোপন ছিলেন।অতঃপর স্থানীয় বিএনপি,জামাত নেতাদের সাথে আঁতাত করে নেন এই অপুর্ব বিশ্বাস। অনুসন্ধানে জানা যায় আওয়ামী লীগ কে পুনরায় জাগিয়ে তুলতে একাধিক গোপন বৈঠক করেছেন তিনি।একাধিক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলে নেতৃত্বে দিচ্ছেন।সাবেক মন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্যের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ হয়তার। এদিকে গোবরডাংগা,আলীপুর, নেহালপুর মাছের ঘেরের হারির টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায়।স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে সালিশি বৈঠকের মাধ্যমে।
নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে লিখিতভাবে ঘেরের মালিকানা ছেড়েদিলো আওয়ামী লীগ নেতা অপুর্ব বিশ্বাস।ঘের হাতছাড়া হয়ে যাওয়ায় ঘেরের জমির মালিকদের উপরে মিথ্যা মামলা, হামলা,ও জীবন নাশের হুমকি দিয়ে ঘের, হারি ছাড়াই দখলে নেওয়ার চেষ্টা করে চলেছে।বর্তমানে ঘেরটি জমির মালিক গণ একটি সমবায় করে পরিচালনা করেছেন,এবং মাছ ছেড়েছেন।এ-খরর পেতেই অপুর্ব বিশ্বাস উড়ে এসে জুড়ে বসার মতো একটি মামলা দায়ের করে। এবং ১৪৪ ধারা জারি করেন।
জমির মালিকদের উপরে চার টি মিথ্যা দায়ের করে রীতিমতো জমির মালিকের ভেতরে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছেন।মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে জমির মালিকগণ গত ২৩ শে জুলাই ঘের পাড়ে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। এদিকে জামাত বিএনপি সমর্থক সাধারণ মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,২০০০ সাল থেকে অপুর্ব বিশ্বাস এর নির্যাতনের শিকার হয়েছি,বিভিন্ন ঘের দখলদারি, চাঁদাবাজি,নারী কেলেঙ্কারি সহ একাধিক অপরাধ করেছে।২০২৪ শে জুলাই আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা পালিয়ে যায়, আমরা মনে করলাম এবার হয়ত এসব অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে।কিন্তু এখনো পর্যন্ত অপুর্ব বিশ্বাস রাজার হালে নেতৃত্ব দিচ্ছেন আওয়ামী লীগের পক্ষে। তাকে প্রশাসন আটকও করে না।
তাদের দাবি অবিলম্বে মামলা বাজ,চাঁদাবাজ, দুর্নীতিবাজ,ঘের ও জমিদখলবাজ,নিয়োগ বাণিজ্যের মূল হোতা অপুর্ব বিশ্বাস কে আটক করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়ে সাধারণ মানুষ কে মুক্তি দেওয়া হোক।অপুর্ব বিশ্বাস সহ তার বাহিনী কে পুলিশ আটক করলে পুলিশ কে মিষ্টিমুখ করার আশ্বাস ও ধন্যবাদ জানাবেন বলে উল্লেখ করেন।তাদের দাবি মিথ্যা মামলার হাত থেকে মুক্তি দিয়ে শান্তিতে পরিবার নিয়ে থাকা।যেটা অপুর্ব বিশ্বাস করতে দিচ্ছেন না।