
মোঃ লুৎফর রহমান লিটন (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জে বাঁশের বেড়া দিয়ে রাস্তা বন্ধ, অবরুদ্ধ একটি পরিবার। সদর উপজেলার ছোনগাছা ইউনিয়নের ইটালী পূর্বপাড়া গ্রামে ।
ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে এর প্রতিকার চেয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ সূত্রে ও সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়, ভুক্তভোগী কামরুজ্জামান ওরফে খয়রুজ্জামান এর সাথে প্রতিবেশী মৃত সেরাজুল মাস্টারের ছেলে আরিফ (৪০), ওয়াদুদ (৪৫), আকবর মৌলভীর ছেলে তাইনুছ (৪৭) তুরাপ খাঁন এর ছেলে তাওহিদ, তামজীদ, আবদীন খানের ছেলে ময়নাল খান গংদের জমিজমা নিয়ে বিরোধ করে আসছে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উল্লেখিত ব্যক্তিরা কামরুজ্জামান ওরফে খয়রুজ্জামানের বাড়ির চারপাশে বাঁশের বেড়া দিয়ে গত এক মাস যাবত রাস্তা বন্ধ করে পরিবারটিকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। খয়রুজ্জামান ও তার পরিবারকে বাড়ি থেকে বের হতে দিচ্ছে না।
এমনকি ঘরোয়া শালিক বসে তাকে সমাজচ্যুত করে এক ঘরে করে রাখা হয়েছে। এবং কথিত সমাজপতি বিএনপি নেতা তাইনুছ, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা ও সাবেক মেম্বার আনোয়ার হোসেন, ইব্রাহিম, ময়নাল খা, বেলাল খাসহ কতিপয় ব্যক্তি ঘোষনা দিয়েছেন খয়রুজ্জামান ও তার পরিবারের লোকজনের সাথে এলাকার কেউ কথা বললে এবং তাকে রিকশা ভ্যানে তুললে তাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে।
এলাকার সাধারন মানুষ সমাজপতিদের ভয়ে কেউ খয়রুজ্জামান ও তার পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলা এমনকি রিকশা ভ্যানেও তোলা বন্ধ করে দিয়েছ। এতে ওই পরিবারটি সম্পৃর্ন অবরুদ্ধ হয়ে একঘরে হয়ে পড়েছে। ভুক্তভোগী কামরুজ্জামান ওরফে খয়রুজ্জামান আরও বলেন, আমার বাড়ির চারপাশে বাঁশের বেড়া দিয়ে আমাদের যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এতে আমাদের হাট বাজার বন্ধসহ আমার গরুর খামারের ১৩টি গরুর ঘাস ও খাবার আনতে পারছি না। এতে গবাদি পশুসহ আমরা মানবেতর জীবনযাপন করছি।
এ বিষয়ে তিনি প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ বিষয়ে সমাজপতি বিএনপি নেতা তাইনুছ, আরিফ ও ইব্রাহিম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, ভুক্তভোগী কামরুজ্জামান ওরফে খয়রুজ্জামান আমাদের সমাজের কাউকে মানেন না তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি তার সাথে আমরা সমাজ জামাত করবো না এবং কথাও বলবো না।
এবিষয়ে সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোকলেছুর রহমান বলেন, অভিযোগের বিষয়ে আমার জানা নেই তবে খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মোনোয়ার হোসেন বলেন, আমি অভিযোগটি পেয়ে সদর থানার ওসিকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।