
নিজস্ব প্রতিবেদক:
মনিরামপুর দেড় শত বিঘার মৎস্য ঘেরের ২৩ লক্ষ টাকা হারি দিতে না পারা ও ধান চাষ করিয়ে দিতে না পারায়,জমির মালিক গণের অভিযোগের ভিত্তিতে, স্থানীয় নেহালপুর পুলিশ ফাঁড়িতে, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে তিনশত টাকার নন-জুডিশিয়াল স্টাম্পে লিখত ভাবে ঘেরের মালিকানা ছেড়ে দেন আঃ লীগ নেতা অপুর্ব বিশ্বাস। নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে তিনি জানায় আমি অপূর্ব বিশ্বাস,নেহালপুর, আলিপুর, গোবরডাংগা ঘেরের ২০ লক্ষ টাকা হারির টাকা দিতে না পারায় ও জমিতে ফসলি চাষ করিয়ে দিতে না পারাই। আমি ঘেরের মালিকানা ছেড়ে দিলাম।আজ থেকে ঘেরের মালিক জমির মালিকগণ।
ঘের হাতছাড়া হয়ে যাওয়ায়,আওয়ামী লীগ,ছাত্র লীগ, যুবলীগ নেতাকর্মীরাদের দারা জমির মালিকের বাড়িতে গিয়ে মিথ্যা মামলা,হামলার হুমকি দিয়ে চলেছে অপুর্ব বিশ্বাস।
অপূর্ব বিশ্বাস,কুলটিয়া ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামের রণজিৎ কুমার বিশ্বাস এর পুত্র সন্তান।
অপুর্ব কুমার বিশ্বাস, ২০০৪ সালে সাবেক আওয়ামী লীগের এমপি খান টিপু সুলতানের হাতধরে কুলটিয়া ইউনিয়ন যুবলীগে ঠাঁই পাই।খান টিপু সুলতানের ক্ষমতাবলে ঘেরদখল করিয়ে দেওয়া এবং,মামলা চলমান জমি জোর পূর্বক দখল করিয়ে দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ২০০৭/২০০৮/২০০৯/সর্বশেষ ২০১২ সালে বিএনপি, জামাতের একাধিক নেতার নামের তালিকা করে পুলিশ দিয়ে উঠিয়ে দিতেন অপুর্ব বিশ্বাস।এসব নানান অভিযোগের ভিত্তিতে, যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটি থেকে বহিষ্কার হয়ে যায় অপুর্ব বিশ্বাস। ২
০১৪ সালে স্বপন ভট্টাচার্যের ঘাড়ে উঠে কলস প্রতীকের নির্বাচনের মাধ্যমে ঘের দখল করিয়ে দেওয়া সন্ত্রাসী থেকে পদোন্নতি হয়ে,ঘেরের মালিক হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হয় তার।
২০১৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত কুলটিয়া, নেহালপুর, মশিহাটী ইউনিয়নের জামাত,বিএনপির নেতা কর্মীর নামে মিথ্যা নাশকতার মামলায় ভয় দেখিয়ে হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ অপুর্ব বিশ্বাস এর বিরুদ্ধে।সর্বশেষ, ২০২৪ এর সংসদ নির্বাচনে এসএম ইয়াকুব আলির ঈগল প্রতীকের পক্ষে মহানায়ক এর ভূমিকায় ইউনিয়নের প্রধান এজেন্ট হিসাবে কাজ করেছেন এই অপুর্ব বিশ্বাস।
সর্বহাটের কাঁঠালি কলা অপুর্ব বিশ্বাস ২০২৪ এর ছাত্র জনতার আন্দোলনের পর শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ায় প্রায় দুই মাস আত্মগোপন ছিলেন।অতঃপর স্থানীয় বিএনপি,জামাত নেতাদের সাথে আঁতাত করে নেন এই অপুর্ব বিশ্বাস। অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে যুবলীগ নেতা নিয়ে আওয়ামী লীগ কে পুনরায় জাগিয়ে তুলতে একাধিক গোপন বৈঠক করেছেন তিনি।একাধিক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলে নেতৃত্বে দিচ্ছেন,এবং আর্থিক ভাবে সহযোগিতা করছেন এই অপুর্ব বিশ্বাস।যে কারণে তার ঘেরে ধান চাষ উপযোগী, ও ২০ লক্ষ টাকা জমির মালিকদের দিতে ব্যর্থ হয় অপুর্ব বিশ্বাস।
জমির চুক্তিনামা অনুযায়ী গোবরডাংগা,আলীপুর, নেহালপুর মাছের ঘেরের হারির টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায়।স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে সালিশি বৈঠকের মাধ্যমে। নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে লিখিত ভাবে ঘেরের মালিকানা ছেড়েদিলো আওয়ামী লীগ নেতা অপুর্ব বিশ্বাস। ঘের হাতছাড়া হয়ে যাওয়ায় ঘেরের জমির মালিকদের উপরে মিথ্যা মামলা, হামলা,ও জীবন নাশের হুমকি দিয়ে ঘের, হারি ছাড়াই দখলে নেওয়ার চেষ্টা করে।বর্তমানে ঘেরটি জমির মালিক গণ একটি সমবায় করে পরিচালনা করেছেন,এবং মাছ ছেড়েছেন।এ-খরর পেতেই অপুর্ব বিশ্বাস, একটি কুচক্রী মহল মিলে উড়ে এসে জুড়ে বসার মতো একটি মামলা দায়ের করে ১৪৪ধারা জারি করেন।১৪৪ধারা জারির পর জমির মালিকদের যুবলীগের একটি বাহিনী,দিয়ে ঘের অপুর্ব বিশ্বাস থাকবে,টাকা দিলেও থাকবে,না দিলেও থাকবে, ঘেরে কেউ গেলে একাধিক মিথ্যা মামলা দেওয়া হবে বলে হুমকি প্রদান করে।
ইতিমধ্যে মামলার আতঙ্ক সৃষ্টি করার লক্ষ্যে চারটি মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন।মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে জমির মালিকগণ গত ২৩ শে জুলাই ঘের পাড়ে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। এদিকে জামাত বিএনপি সমর্থক সাধারণ মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,২০০০ সাল থেকে অপুর্ব বিশ্বাস এর নির্যাতনের শিকার হয়েছি,বিভিন্ন ঘের দখলদারি, চাঁদাবাজি,নারী কেলেঙ্কারি সহ একাধিক অপরাধ করেছে।
২০২৪ শে জুলাই আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা পালিয়ে যায়, আমরা মনে করলাম এবার হয়তো এসব অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে।কিন্তু এখনো পর্যন্ত অপুর্ব বিশ্বাস রাজার হালে নেতৃত্ব দিচ্ছেন আওয়ামী লীগের পক্ষে। তাকে প্রশাসন আটকও করে না। সাংবাদিকদের জানায় অবিলম্বে মামলা বাজ,চাঁদাবাজ, দুর্নীতিবাজ,ঘের ও জমিদখলবাজ,নিয়োগ বানিজ্যের মুল হোতা অপুর্ব বিশ্বাস কে আটক করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়ে সাধারণ মানুষ কে মুক্তি দেওয়া হোক।
অপুর্ব বিশ্বাস সহ তার বাহিনী কে পুলিশ আটক করলে পুলিশ কে মিষ্টিমুখ করার আশ্বাস ও ধন্যবাদ জানাবেন বলে উল্লেখ করেন।তাদের দাবি মিথ্যা মামলার হাত থেকে মুক্তি দিয়ে শান্তিতে পরিবার নিয়ে থাকা।যেটা অপুর্ব বিশ্বাস করতে দিচ্ছেন না।