
মোঃ ওয়াজেদ আলী, স্টাফ রিপোর্টার:
যশোর সদর উপজেলার কুয়াদা সিরাজসিঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ ভবনের ছাদে বড় বড় ঝুঁকিপূর্ণ গাছ থাকার পরও সেখানে নিয়মিত পাঠদান চলছে। এতে আতঙ্কে দিন পার করছেন শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকরা।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনের ছাদে ৬টি রেন্ডি গাছ ও ১টি মেহগনি গাছ অবস্থিত। এই গাছগুলো যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে বলে শঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। ১৯২৪ সালে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টির একতলা ভবন নির্মিত হয় ১৯৯৩ সালে। এরপর দীর্ঘ ৩২ বছর পেরিয়ে গেলেও ভবনটি কোনো সংস্কার পায়নি।
বর্তমানে ভবনের ছাদে গাছ জন্মে বেড়ে ওঠায় দেয়াল ও ছাদ দুর্বল হয়ে পড়েছে। পঞ্চম শ্রেণির শ্রেণিকক্ষে ছাউনি ফুটো হয়ে গেছে। দরজা-জানালার অবস্থাও অত্যন্ত নাজুক। বৃষ্টির দিনে টিনের ফুটো দিয়ে শ্রেণিকক্ষে পানি পড়ে, ফলে শিক্ষার্থীদের বই-খাতা ভিজে যায়। গ্রীষ্মকালে প্রচণ্ড গরমে শ্রেণিকক্ষে টিকে থাকা দায় হয়ে ওঠে।
বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ৯৪ জন শিক্ষার্থী ও ৪ জন শিক্ষক রয়েছেন। ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পাঠদান চালিয়ে যেতে হচ্ছে তাদের।
বিদ্যালয়ের অভিভাবক জাকারিয়া বলেন, “১৯৯৩ সালে ভবনটি নির্মাণের পর থেকে আর কোনো সংস্কার হয়নি। ছাদে বড় বড় গাছ থাকায় আমাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়।”
অভিভাবক ও শিক্ষকরা ইতিমধ্যে যশোর সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসারের বরাবর বিদ্যালয় ভবনের উপর থেকে গাছ অপসারণের জন্য আবেদন করেছেন। কিন্তু এখনও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
এলাকাবাসী ও অভিভাবকরা দ্রুত ঝুঁকিপূর্ণ গাছ অপসারণ ও বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণের জোর দাবি জানিয়েছেন। তাদের আশঙ্কা, অবিলম্বে ব্যবস্থা না নিলে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।