জামালপুর প্রতিনিধি:
ভোটার তালিকায় অসংখ্য ভুল, আদালতের নিষেধাজ্ঞা, বৈধ প্রক্রিয়া উপেক্ষা করে জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার চিনাডুলী ফাজিল মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত হয়েছে বিতর্কিত ও কথিত নির্বাচনী প্রহসন। এই নির্বাচনকে ঘিরে এলাকায় ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় উঠেছে।
অভিযোগে জানা গেছে, মাদ্রাসার গভর্নিং বডি নির্বাচনের ভোটার তালিকায় ব্যাপক অসংগতি থাকায় প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মো. এনামুল হক ও অভিভাবক সদস্য মো. শাহ মাহমুদ লিখিত অভিযোগ জমা দেন। অথচ তা আমলে না নিয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ একতরফাভাবে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন।
উক্ত প্রহসনের নির্বাচন ঠেকাতে এনামুল হক ও শাহ মাহমুদ বাদী হয়ে জেলা দায়রা জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন (মামলা নং: ১৬১/২০২৫)।
সেই প্রেক্ষিতে গত ২৪ জুন আদালত নির্বাচনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) আদালতের আদেশ অমান্য করে কিছু অবৈধ ও ভুয়া ভোটার দিয়ে নির্বাচন সম্পন্ন করা হয়। এই পদ্ধতির বিরোধিতা করে অভিভাবক সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী তিনজন প্রার্থী— মো. আব্দুর রহমান, মো. জহিরুল ইসলাম এবং মো. কাওসার—নির্বাচন বর্জন করে নির্বাচন স্থলে উপস্থিত হননি।
এদিকে প্রহসনের এই নির্বাচন পরিচালনায় দায়িত্ব পালন করেন ইসলামপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. গোলাম মোস্তফা, যিনি স্থানীয়দের মতে পুতুল প্রিজাইডিং হিসেবে কাজ করেছেন এবং দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত।
এলাকাবাসীর ভাষ্যমতো, একটা মাদ্রাসার নির্বাচন যদি এত দুর্নীতির মাধ্যমে হয়, তাহলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সুশাসন কোথায়?