সাজ্জাদ তুহিন নড়াইল প্রতিনিধি:
নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পেড়লী এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) কর্তৃক অধিগ্রহণকৃত সরকারি জমি জবরদখল করে পাকা দোকানঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বাসিন্দা মো. মিশুক হোসেনের বিরুদ্ধে। তিনি পেড়লী গ্রামের দীন মোহাম্মদ শেখের ছেলে।
জানা গেছে, ১৯৭৯-৮০ অর্থবছরে ৯২/১৯৭৯-৮০ নম্বর এলএ কেসের আওতায় পেড়লী মৌজার উক্ত জমি বন্যা নিয়ন্ত্রণ ভেড়ীবাঁধ নির্মাণের লক্ষ্যে অধিগ্রহণ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ওই জমি সম্পূর্ণ সরকারি মালিকানাধীন হওয়া সত্ত্বেও মিশুক হোসেন দীর্ঘদিন ধরে সেখানে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ করে স্থায়ী দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছেন।
এ প্রেক্ষিতে গত ১৭ জুলাই (বৃহস্পতিবার) পানি উন্নয়ন বোর্ড, নড়াইলের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী দীপঙ্কর কুমার দাশ স্বাক্ষরিত এক অফিসিয়াল নোটিশের মাধ্যমে তাকে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে নিজ উদ্যোগে নির্মিত স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, বাপাউবো কর্তৃক অধিগ্রহণকৃত সরকারি সম্পত্তিতে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ করে তা দখলে রাখা দণ্ডনীয় অপরাধ। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে স্থাপনা অপসারণ না করলে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং সৃষ্ট পরিস্থিতির সম্পূর্ণ দায়-দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট দখলদারকে বহন করতে হবে।
স্থানীয়রা জানান, মিশুক হোসেন এলাকায় একজন পরিচিত দখলবাজ ও প্রতারক হিসেবে কুখ্যাত। তার বিরুদ্ধে জমি জালিয়াতি, সাধারণ মানুষকে হুমকি-ধমকি ও প্রতারণার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় থেকে তিনি বছরের পর বছর নানা অনিয়ম করে যাচ্ছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় ব্যবসায়ী বলেন, “সরকারি জমি দখল করে এখন স্থায়ী দোকানঘর নির্মাণ করছেন মিশুক। প্রশাসন শুরুতে কিছুই বলত না, এবার পানি উন্নয়ন বোর্ড নোটিশ দেওয়ায় আমরা আশাবাদী।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত মিশুক হোসেন বলেন, জমিটি আমার বাবার নামে দলিলকৃত। এটি আমাদের পারিবারিক সম্পত্তি। আমি কোনো সরকারি জমি দখল করিনি।
এদিকে স্থানীয় সচেতন নাগরিকরা দ্রুত সরকারি জমি দখলমুক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন অপচেষ্টা না করে।