
মোঃ ওয়াজেদ আলী, স্টাফ রিপোর্টার:
যশোর সদর উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের সতীঘাটা কামালপুর রাজবংশী পাড়ায় একটি ছাগলের পা ভাঙাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। কলাগাছের পাতা খাওয়ার অভিযোগে গ্রামেরই এক যুবক লাঠির আঘাতে ছাগলের পা ভেঙে দেয় বলে অভিযোগ উঠেছে, যা নিয়ে ভুক্তভোগী পরিবার ইউনিয়ন পরিষদে লিখিত অভিযোগ করেছে।
অভিযোগে জানা যায়, স্থানীয় বাসিন্দা তাপস বিশ্বাসের একটি ছাগল রবিবার বিকেলে তার মা সব্রর বালা বিশ্বাস (৬০) মাঠে চড়াতে নিয়ে যান। চড়ার সময় ছাগলটি একই গ্রামের সুকুমার বিশ্বাসের ছেলে রাবেল বিশ্বাসের কলাগাছের পাতা খেলে, রাবেল তাৎক্ষণিকভাবে লাঠি দিয়ে ছাগলটির পায়ে আঘাত করে। এতে ছাগলটির একটি পা ভেঙে যায়।
ভুক্তভোগী পরিবার অভিযোগ করে বলেন, “ছাগল তো অবলা প্রাণী, একটি গাছের পাতা খাওয়াতেই যদি এমনভাবে পিটিয়ে পা ভেঙে ফেলা হয়, তবে এটা পশু নির্যাতনের শামিল।” শুধু তাই নয়, গ্রামের অনেকেই জানান, রাবেল এর আগেও একই রকম নির্যাতনের ঘটনা ঘটিয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, তিনি নিখিল বিশ্বাসের একটি ছাগলের মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছিলেন এবং প্রহল্লা বিশ্বাসের একটি ছাগলের পেটে রড ঢুকিয়ে দেয়ার ঘটনাও তার সঙ্গে যুক্ত।
ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলে রাবেল বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধামকি দেয় বলেও অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। তারা প্রশ্ন তুলেছেন, “এই যুবকের এত দাপট ও ক্ষমতার উৎস কোথায়?
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রামনগর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান রামপ্রসাদ বলেন,
“ছাগল একটি অবলা প্রাণী। ইউনিয়নে চড়ানোর জন্য খড়ের ব্যবস্থাও রয়েছে। কিন্তু তাই বলে পাতার জন্য এমন অমানবিক নির্যাতন দণ্ডনীয় অপরাধ।
তিনি আরও জানান, ভুক্তভোগী পরিবার পরিষদে লিখিত অভিযোগ করেছে এবং আগামী ২৩ জুলাই বুধবার ইউনিয়ন পরিষদ হলরুমে একটি সালিশি বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানে অভিযুক্তকে জবাবদিহিতার মুখে পড়তে হবে এবং ভবিষ্যতের জন্য উপযুক্ত শিক্ষা দেওয়া হবে।
স্থানীয়রা দাবি করেছেন, অবলা প্রাণীর উপর এ ধরনের নৃশংসতা বন্ধে প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।