
মোঃ ওয়াজেদ আলী, স্টাফ রিপোর্টার:
যশোরের কেশবপুর উপজেলার মধ্যকুল গ্রামের নারী উদ্যোক্তা রোকেয়া বেগম ভাসমান পদ্ধতিতে সবজি চাষ করে এলাকায় উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন। জলাবদ্ধতার সঙ্গে লড়াই করে নতুন প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে তিনি সফলতার স্বপ্ন দেখছেন।
জানা যায়, মনিরামপুর অঞ্চলের আশা–চিনাটোলা ব্রাঞ্চ এর নতুন সদস্য রোকেয়া বেগম জলমগ্ন জায়গায় কলাগাছের ভেলা ও কচুরিপানা দিয়ে তৈরি করেছেন ৬টি ভাসমান বেড। এতে তিনি চাষ করেছেন লাউ, ঝিঙে, বরবটি, কচুর লতি, লালশাক, ডাটাশাকসহ বিভিন্ন সবজি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বাড়ির পাশের খালের পানিতে টইটুম্বর অবস্থায় রোকেয়ার এই ভাসমান বেডগুলো স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি বেড তৈরি হয়েছে ১৮ হাত লম্বা, ২.৫ হাত চওড়া কলাগাছের ভেলার ওপর ৩ হাত উঁচু করে কচুরিপানা স্তরে স্তরে সাজিয়ে।
তিনি জানান, ভাসমান বেডে চাষাবাদে ব্যয় হয়েছে মাত্র ৬ হাজার টাকা। আর এখান থেকে লালশাক, ডাটাশাক, বরবটি বিক্রি করে তিনি ২০-২৫ হাজার টাকা আয় করবেন বলে আশা করছেন। এছাড়া অন্যান্য মৌসুমেও এই পদ্ধতিতে সবজি চাষ চালিয়ে যেতে চান তিনি।
রোকেয়া বেগম বলেন, “কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও আশা–এর সহযোগিতায় আমি ভাসমান বেড তৈরির পদ্ধতি শিখেছি। এখন আমি শুধু নিজেই করব না, অন্য কৃষকদেরও এই পদ্ধতিতে উৎসাহিত করব।
এ বিষয়ে আশা–যশোর সদর জেলার এগ্রি উইং এর টেকনিক্যাল অফিসার নীতিকেশ মন্ডল বলেন,
“ভাসমান বেড পদ্ধতি একটি লাভজনক প্রযুক্তি। জুন থেকে নভেম্বর পর্যন্ত জলাবদ্ধ অঞ্চলে এটি কার্যকর। পরিবেশবান্ধব ও জৈব এই পদ্ধতিতে কম খরচে নিরাপদ সবজি উৎপাদন করা সম্ভব।