Sunday, July 13, 2025

যশোরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্র’তিবাদে বি’ক্ষোভ

Date:

Share post:

স্বীকৃতি বিশ্বাস, যশোরঃ

যশোরে চাঁদাবাজি, খুন, ধর্ষণ ও গণপিটুনিসহ নানা অপরাধের প্রতিবাদে এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শনিবার (১২ জুলাই) দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরের সামনে সাধারণ ছাত্র-জনতার ব্যানারে
এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় নেতা কমরেড জিল্লুর রহমান ভিটু বলেন, দেশে যেভাবে চাঁদাবাজি, খুন, ধর্ষণ ও গণপিটুনির ঘটনা বাড়ছে, তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তিনি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নত করতে না পারলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে অবিলম্বে পদত্যাগের দাবি জানান। প্রয়োজনে প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে রাজপথে নামার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

কমরেড ভিটু মিডফোর্ড হত্যাকাণ্ডের ভিডিওর বিভৎসতার কথা উল্লেখ করে বলেন, একটি স্বাধীন দেশে একজন অপরাধীরও বিচার পাওয়ার অধিকার থাকা উচিত। তিনি প্রশ্ন তোলেন, ফ্যাসিবাদকে সরিয়ে দিয়ে কি আমরা বিচারহীনতা প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলাম? তার অভিযোগ, “যার যা ইচ্ছে তাই ঘোষণা দেবে, দশ-বিশজন ডেকে এনে যা ইচ্ছে তাই করবে, এভাবে কোনো স্বাধীন রাষ্ট্র চলতে পারে না।”

কমরেড ভিটু অভিযোগ করেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান দায়িত্ব ছিল একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচন দিয়ে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, দেশ সংস্কারের দায়িত্ব দ্বৈত নাগরিকদের হাতে দেওয়া হয়েছে, যা তিনি সরাসরি সংবিধান পরিপন্থী বলে দাবি করেন।
সমাবেশে বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের জেলা সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় নেতা কমরেড তসলিম উর রহমান বলেন, শেখ হাসিনাকে হটিয়ে ভেবেছিলাম বৈষম্য দূর হবে, কিন্তু বাস্তবতা বলছে, এখনও সেই পুরনো বৈষম্য ও নিপীড়ন চলছে। তিনি দৃঢ়তার সাথে বলেন, “ছাত্র-জনতার রক্ত কখনও বৃথা যায় না। সময় এলে তারা আবার রাজপথে নামবে।”

সমাবেশে বক্তারা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, বিচারহীনতা এবং কয়েকটি রাজনৈতিক দল ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কঠোর সমালোচনা করেন। এমনকি তারা প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে রাজপথে নামার হুঁশিয়ারিও দেন।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাহিদ আব্বাস, ফরহাদ শেখ, খান জাহান আলী শান্ত, হারিস, মামুন রহমান প্রিন্স, রুবাইয়া খন্দকার, তারেক হোসেন, আবু সাইদ প্রমুখ।

বিক্ষোভ সমাবেশে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি), এম.এম কলেজ, সিটি কলেজ, আব্দুর রাজ্জাক মিউনিসিপ্যাল কলেজসহ জেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন, যারা জুলাই আন্দোলনের সময়ও রাজপথে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন।যশোরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রতিবাদে বিক্ষোভ

যশোরে চাঁদাবাজি, খুন, ধর্ষণ ও গণপিটুনিসহ নানা অপরাধের প্রতিবাদে এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শনিবার (১২ জুলাই) দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরের সামনে সাধারণ ছাত্র-জনতার ব্যানারে
এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় নেতা কমরেড জিল্লুর রহমান ভিটু বলেন, দেশে যেভাবে চাঁদাবাজি, খুন, ধর্ষণ ও গণপিটুনির ঘটনা বাড়ছে, তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তিনি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নত করতে না পারলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে অবিলম্বে পদত্যাগের দাবি জানান। প্রয়োজনে প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে রাজপথে নামার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

কমরেড ভিটু মিডফোর্ড হত্যাকাণ্ডের ভিডিওর বিভৎসতার কথা উল্লেখ করে বলেন, একটি স্বাধীন দেশে একজন অপরাধীরও বিচার পাওয়ার অধিকার থাকা উচিত। তিনি প্রশ্ন তোলেন, ফ্যাসিবাদকে সরিয়ে দিয়ে কি আমরা বিচারহীনতা প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলাম? তার অভিযোগ, “যার যা ইচ্ছে তাই ঘোষণা দেবে, দশ-বিশজন ডেকে এনে যা ইচ্ছে তাই করবে, এভাবে কোনো স্বাধীন রাষ্ট্র চলতে পারে না।

কমরেড ভিটু অভিযোগ করেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান দায়িত্ব ছিল একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচন দিয়ে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, দেশ সংস্কারের দায়িত্ব দ্বৈত নাগরিকদের হাতে দেওয়া হয়েছে, যা তিনি সরাসরি সংবিধান পরিপন্থী বলে দাবি করেন।
সমাবেশে বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের জেলা সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় নেতা কমরেড তসলিম উর রহমান বলেন, শেখ হাসিনাকে হটিয়ে ভেবেছিলাম বৈষম্য দূর হবে, কিন্তু বাস্তবতা বলছে, এখনও সেই পুরনো বৈষম্য ও নিপীড়ন চলছে। তিনি দৃঢ়তার সাথে বলেন, “ছাত্র-জনতার রক্ত কখনও বৃথা যায় না। সময় এলে তারা আবার রাজপথে নামবে।”

সমাবেশে বক্তারা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, বিচারহীনতা এবং কয়েকটি রাজনৈতিক দল ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কঠোর সমালোচনা করেন। এমনকি তারা প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে রাজপথে নামার হুঁশিয়ারিও দেন।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাহিদ আব্বাস, ফরহাদ শেখ, খান জাহান আলী শান্ত, হারিস, মামুন রহমান প্রিন্স, রুবাইয়া খন্দকার, তারেক হোসেন, আবু সাইদ প্রমুখ।

বিক্ষোভ সমাবেশে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি), এম.এম কলেজ, সিটি কলেজ, আব্দুর রাজ্জাক মিউনিসিপ্যাল কলেজসহ জেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন, যারা জুলাই আন্দোলনের সময়ও রাজপথে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

spot_img

সম্পর্কিত নিবন্ধ

খাগড়াছড়ি,গুইমারা উপজেলা মারমা ঐক্য পরিষদ অফিস উদ্বোধন করেন

খাগড়াছড়ি, প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ি জেলা গুইমারা উপজেলায় মারমা সম্প্রদায়ে বিশ্বস্ত সংগঠন বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনে অফিস...

নড়াইলে আইডিইবি’র নবনির্বাচিত কমিটির সভাপতি মামুন সম্পাদক সালাম

সাজ্জাদ তুহিন নড়াইল প্রতিনিধি : নড়াইলে ইন্সটিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি)-এর নব নির্বাচিত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ১২...

সাধারণ মানুষের ও মহিলাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আজ লালবাজার অভিযান প্রদেশ কংগ্রেসের

কলকাতা থেকে নিউজ দাতা মনোয়ার ইমাম: আজ বৈকালে ভারতের জাতীয় কংগ্রেস এর পশ্চিম বাংলার প্রদেশ কংগ্রেস এর সভাপতি শ্রী...

তাড়াশে মানবিক সহায়তার ঘর পেলেন গৃহহী’ন হামিদা

মোঃ লুৎফর রহমান লিটন, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের তাড়াশে গৃহহীন হামিদা খাতুন সরকারি অনুদান ও মানুষের সহযোগিতায় টিনের নতুন ঘর...