সিরাজগঞ্জের তাড়াশে গৃহহীন হামিদা খাতুন সরকারি অনুদান ও মানুষের সহযোগিতায় টিনের নতুন ঘর পেয়েছেন। গতকাল শনিবার দুপুরে দোয়ার আয়োজন করে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘরে তুলে দেওয়া হয়। হামিদা খাতুনের বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলার দেশীগ্রাম ইউনিয়নের দো-গাড়িয়া গ্রামে। তার স্বামীর নাম মৃত হবিবুর রহমান।
হামিদা খাতুন (৬১) বলেন, ঘর পেয়ে খুব খুশি তিনি। একসময় কবরস্থানের জায়গার ভুতুরে পরিবেশে বসবাস করতেন। পরে স্থানীয়রা মায়া করে ভিটা বাড়ির একটি পরিত্যক্ত ঘরে থাকতে দেন। ভাঙা ঘরের উপরে চাল ছিলো না। পলেথিন দিয়ে রেখেছিলেন। বৃষ্টির পানি পড়ে ঘরের মেঝে-দেয়াল স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে থাকতো। বহু বছর কেটে গেছে বসতঘর না থাকার কষ্টে।
গৃহহীন হামিদা খাতুনকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হয়। তারপর কিছু সরকারি অনুদান ও মানুষের আর্থিক সহায়তায় টিনের একটি ১২ হাত ঘর করে দেওয়া হয়েছে। তার স্বাভাবিক জীবনযাপনের জন্য ল্যাট্রিন, টিউবওয়েল ও বিদ্যুৎ সুবিধা প্রয়োজন।
জানা গেছে, দুই মেয়ে রেখে হামিদা খাতুনের স্বামী হবিবুর রহমান মারা গেছেন বহু দিন আগে। অভাবের তারনায় বড় মেয়ে হাবিজা খাতুনকে এক বাড়িতে কাজে রেখেছিলেন।
তারাই বিয়ে দিয়েছেন। ছোট মেয়ে ছাদিয়াকে দত্তক দিয়ে দেন। এখনো খেয়ে না খেয়ে দিন কাটে হামিদার।
অপরদিকে দো-গাড়িয় গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা তফিজ উদ্দীন (৮২) বলেন, আমার পরিত্যক্ত ভিটে-বাড়িতে হামিদাকে থাকতে দিয়েছি। তার অনেক কষ্ট। দুনীয়াতে দেখার মতো কেউ নেই। ঘর পেয়ে তার খুবই উপকার হল।
সাদিকুল ইসলাম নামে দো-গাড়িয়া গ্রামের এক তরুণ বলেন, অসহায় হামিদার ঘর তৈরিতে যুব সমাজ যথেষ্ট সহযোগিতা করেছেন। বিশেষ করে পরিত্যক্ত ঘর ভেঙে নতুন ঘরের মেঝেতে মাটি ফেলা ও সমান করার কাজে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত জাহান বলেন, আমরা কিছু সহযোগিতা দিয়েছি। অন্যেরাও সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন। এভাবে সহযোগিতা পেলে সমাজের অসহায় হামিদাদের দুঃখ ঘুচে যাবে।