ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার প্রাইমারি স্কুলগুলোতে প্রতিনিয়তই চুরির ঘটনা ঘটছে। পাঠদানে সহায়ক বিদ্যালয়ে থাকা ইলেকট্রিক পণ্যের পাশাপাশি নানা ধরনের গুরুত্বপূর্ণ জিনিস চুরি হয়ে যাচ্ছে। এ পর্যন্ত ঘটা চুরির ঘটনাগুলোতে এখনো ধরা পড়েনি চোর চক্রের সদস্যরা।
যে কারণে থানা পুলিশের নিরব ভূমিকা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। বিদ্যালয়গুলোতে ধারাবাহিক চুরির ঘটনায় চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংশ্লিষ্ট প্রাথমিক কর্তৃপক্ষ।
প্রাইমারি স্কুলগুলোতে ধারাবাহিক চুরির অংশ হিসেবে চোরেরা এবার বারবাজার ইউনিয়নের পিরোজপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের কক্ষের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে স্টিলের আলমারি ভেঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা উপকরণ
চুরি করে নিয়ে যায় ।
বুধবার (৯ জুলাই) মধ্যরাতে চুরির এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানায় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক শিলা রানী বলেন,গতকাল রাতে দপ্তরী জাহিদুল ইসলাম স্কুলে ছিলেন। তার ভাষ্য অনুযায়ী বৃষ্টির মধ্যে তিনি রাত ১১ টার দিকে বাড়িতে যান। ভোরে স্কুলে ফিরে তিনি দেখতে পান স্কুলের গেট এবং শিক্ষকদের কক্ষের তালা ভাঙ্গা।
পরবর্তীতে লক্ষ করে দেখেন আলমারি খোলা এবং সেখানে থাকা সব মালামাল এলোমেলোভাবে নিচেয় পড়ে আছে। স্কুলে ব্যবহার করা ১ টি কালার প্রিন্টার, ২ টি প্রজেক্টর, ২ টি ল্যাপটপ, ১ টি ঘন্টা, এবং ১টি মাল্টিপ্লাগ এবং ১ টি সাউন্ড বক্স চোর চক্রের সদস্যরা চুরি করে নিয়ে গেছে।
চুরির এ ঘটনায় কালীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে যাবেন বলেও জানান তিনি। উল্লেখ্য, চলতি বছরের জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে বাদুরগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে, জুন মাসে মহিষাহাটী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে, মার্চ মাসে উপজেলার খড়িকাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং মে মাসে শশারপাড়া ভিটেখোলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ল্যাপটপ, মাল্টিমিডিয়া প্রিন্টারসহ গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা উপকরণসমূহ চুরি হয়।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো.মাসুদুর রহমান জানান, একের পর এক প্রাথমিক বিদ্যালয় চুরির ঘটনা ঘটছে। যা গভীর উদ্বেগের বিষয়। আর এসব ঘটনায় থানা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেও কোনো প্রতিকার মিলছে না। থানা পুলিশকে আমি চুরির ব্যাপারটা লিখিতভাবে জানিয়েছি। এভাবে চলতে থাকলে বিদ্যালয়সমূহের শিক্ষা উপকরণ সব চুরি হয়ে যাবে। যার প্রভাব পাঠদান কার্যক্রমে পড়বে।
চুরির ঘটনায় কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম (ওসি) এর বক্তব্য জানতে তার সরকারি মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।