
ওয়াজেদ আলী, স্টাফ রিপোর্টার:
যশোর সদর উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের বুক চিরে প্রবাহিত মুক্তেশ্বরী নদীতে বাঁশের পাটা (বান্দাল) বসিয়ে পানি ও কচুরিপানার স্রোত আটকে মাছ শিকার করছেন কিছু অসাধু ব্যক্তি। এতে নদীর স্বাভাবিক পানি প্রবাহ ব্যাহত হচ্ছে এবং আশপাশের বিস্তীর্ণ চাষাবাদি জমি পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে।
গত কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে বিল হরিণার চাষের মাঠগুলোতে পানি জমতে শুরু করে। সাধারণত এসব জমির পানি মুক্তেশ্বরী নদীর মাধ্যমে নিষ্কাশন হয়ে যায়। তবে নদীর প্রবাহ আটকে দেওয়ায় পানি জমে থেকে যাচ্ছে মাঠে। ফলে কৃষকরা আমন ধানের বীজ বপণ করতে পারছেন না।
মাঠ পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, অন্তত ১৭ জন ব্যক্তি নদীতে কচুরিপানা ও পানির স্রোত আটকে অভিনব কায়দায় মাছ ধরছেন। এ কারণে নদীর জলাবদ্ধতা চরম আকার ধারণ করেছে।
স্থানীয় কৃষক মহরম জানান, “হাজার হাজার বিঘা জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। আমরা চরম বিপদে আছি। দ্রুত পানি না সরলে বীজতলা তৈরি করতে পারবো না।
একই অভিযোগ করেন মাছচাষি নিখিল বিশ্বাসের স্ত্রীও। তিনি বলেন, “বৃষ্টির কারণে আমাদের মাছের ঘের তলিয়ে গেছে। মেশিন দিয়ে পানি কমাতে পারছি না। মুক্তেশ্বরীতে বান্দাল বসিয়ে মাছ ধরার কারণে পানি নামছে না।
স্থানীয় কৃষকরা অভিযোগ করে বলেন, মুক্তেশ্বরী নদীতে অবৈধ বান্দাল উচ্ছেদ না করা হলে আমাদের চাষাবাদ হুমকির মুখে পড়বে।
তাঁরা দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ও নদীর পানি প্রবাহ স্বাভাবিক করার জোর দাবি জানান।