
বিএনপি নেতৃবৃন্দ ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে
মোঃ ওয়াজেদ আলী, স্টাফ রিপোর্টার:
যশোরের মণিরামপুর উপজেলার কুয়াদা স্কুল অ্যান্ড কলেজে গভীর রাতে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা ভাঙচুর ও ব্যাপক ক্ষতিসাধন করেছে। সোমবার (৩০ জুন) রাতের কোনো এক সময়ে দুর্বৃত্তরা প্রথমে প্রতিষ্ঠানের নিচতলায় শিক্ষক মিলন কক্ষ ও লাইব্রেরির দরজার তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে। এরপর একে একে আরও ৪টি কক্ষের তালা ভেঙে ভেতরের আসবাবপত্র, বাক্স, টেবিলসহ অফিসের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র তছনছ করে দেয়।
পরবর্তীতে ২য় তলার গ্রিলের তালা ভেঙে কয়েকটি শ্রেণিকক্ষ ও ল্যাপটপ রুমেও একইভাবে ভাঙচুর চালানো হয়।
রাতের দায়িত্বে থাকা নৈশপ্রহরী আশরাফ আলী জানান, তিনি সন্ধ্যা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত পাহারা দেন। এরপর অফিসের সামনে খাটে ঘুমিয়ে পড়েন। রাতের কোন এক সময় দুর্বৃত্তরা এ ঘটনা ঘটায়, তিনি কিছুই বুঝতে পারেননি। সকালে তার স্ত্রী এসে ডাকাডাকি করলে তার ঘুম ভাঙে। তখনই ভাঙচুরের বিষয়টি তার নজরে আসে এবং তাৎক্ষণিকভাবে অধ্যক্ষ ওয়াজেদ আলী, স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি জিয়াউর রহমান লিটনসহ কয়েকজন শিক্ষককে ফোন করে অবহিত করেন।
ঘটনার খবর পেয়ে সকালে প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনে আসেন বিএনপির সদর উপজেলা তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মিজানুর রহমান বাবলু, ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ডা. আলাউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আখতারুজ্জামান আক্তার, বিএনপি নেতা আলতাফ হোসেন ও সদস্য মুস্তাফিজুর রহমান টগরসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এ সময় মণিরামপুর থানার এসআই হাসান ফোর্সসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করবেন বলে জানিয়েছেন।
এদিকে, সম্প্রতি এলাকায় আরও কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একইভাবে তালা ভেঙে ভাঙচুর ও তছনছের ঘটনা ঘটায় স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।