
স্বীকৃতি বিশ্বাস, যশোরঃ
যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলার সুন্দলী ইউনিয়নের ডহর মশিয়াহাটীতে কৃষক দলের নওয়াপাড়া সভাপতি তরিকুল ইসলাম ঘের সংক্রান্ত বিষয়ে নিহত হওয়ার পর গ্রামের ১৯টি সংখ্যালঘুর বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে অর্ধশতাধিক নারীপুরুষকে শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে বাড়িতে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করার
পর বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় সংগঠন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন।তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্টের পূজা খুলনা জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক ডাঃ সুদীপ্ত সুন্দর মন্ডলের সার্বিক তত্ত্বাবধানে অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেন এবং মানবিক সহায়তা প্রদান করেন কেন্দ্রীয়পূজা উদযাপন ফ্রন্টের নেতৃবৃন্দ।
আজ শনিবার (৩১ শে মে) দুপুর দেড়টায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের সাথে কথা বলেন ও মানবিক সহায়তা বিতরণ করেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্টের কেন্দ্রীয়, বিভাগীয়সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি অপর্ণা রায় দাস,সাধারণ সম্পাদক ও ট্রাস্টি সমীরণ বসু,সহসভাপতি সুরঞ্জন ঘোষ,সহসভাপতি গৌতম মিত্র, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুবাস দাস,সাংগঠনিক সম্পাদক জয়দেব বাবু,সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক তন্ময় সাহা,নড়াইল জেলা আহ্বায়ক অশোক কুন্ডু,সদস্য সচিব কার্ত্তিক দাস,খুলনা জেলার আহ্বায়ক নিত্যানন্দ মন্ডল,মাগুরা সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিহির কান্তি বিশ্বাস,খুলনা জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক ডাঃ সুদীপ্ত সুন্দর মন্ডলসহ বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি অপর্ণা রায় দাস বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের নির্দেশনায় আমরা এখানে এসেছি। আমরা আপনাদের বেদনায় সমব্যাথী।
এখানে এসে সরজমিনে দেখে মনে হয়েছে তৃতীয় পক্ষ এ ঘটনা ঘটিয়েছে। ফলে একদিকে আমাদের এক ভাই কৃষক দলের নেতা তরিকুল ইসলামকে হারিয়েছি অন্যদিকে আপনাদের মতো সাধারণ জনগণকে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয়েছে। আমরা চাই সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে খুনির বিচার হোক এবং তৃতীয় পক্ষ যারা আপনাদের ঘরবাড়িতে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেছে তাদেরও বিচার হোক।
এরপর নেতৃবৃন্দ নিহত কৃষক দলের নেতা তরিকুল ইসলামের বাড়ি গিয়ে তার স্ত্রী-সন্তান ও পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বলেন এবং নিহত নেতার করবে শ্রদ্ধা জানান।