
মনিরামপুর প্রতিনিধি:
যশোরের মনিরামপুর উপজেলার মহাদেবপুর গ্রামের বাসিন্দা দুলাল মণ্ডল ও তার সহযোগী তুলা রাশি জাহিদা বেগমের বিরুদ্ধে গুরুতর প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, এক সময় ঝাড়ফুঁকের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে প্রতারণা শুরু করা দুলাল মণ্ডল এখন একাধিক ভণ্ড কবিরাজি ফাঁদ পেতে মাসে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।
দুলাল মণ্ডল এখন (স্বামী)-স্ত্রীর মধ্যে অমিল, প্রেমিক-প্রেমিকার বিচ্ছেদ, পুরুষদের বউ চলে যাওয়া সেইটা তার ভন্ডামির মাধ্যমে ফিরিয়ে আনার আশ্বাস দেওয়া কিংবা “জিনে ধরা” সমস্যার মিথ্যা ভয় দেখিয়ে জাদু-টোনা, তাবিজ-কবচ, শ্মশানের তেলসহ নানা অদ্ভুত সরঞ্জাম ব্যবহার করে মানুষের বিশ্বাস নিয়ে খেলছে। তার কাছে পাওয়া গেছে মানুষের হাড়, মাথার খুলির মতো দেখতে জিনিস এবং তথাকথিত “শ্মশানের তেল”। একজন ছদ্মবেশী সাংবাদিক চিকিৎসা নিতে গিয়ে এসব সরঞ্জাম নিজের চোখে দেখেন। প্রথমে দুলাল এগুলোকে মানুষের হাড় বলে দাবি করলেও সাংবাদিক পরিচয় দিলে নিজেই সেগুলো গরু ও হরিণের বলে দাবি করেন। এমন মিথ্যাচার তার প্রতারণার গভীরতাই স্পষ্ট করে।
অভিযোগ রয়েছে, দুলাল একা পেলেই ভালো মহিলাদের কুপ্রস্তাব দেয় এবং কেউ প্রলুব্ধ হলে অন্য পুরুষের হাতে তুলে দিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেয়। এই চক্রে তার সহযোগী জাহিদা বেগমও রয়েছে, যিনি “ভারন” দেওয়ার নামে মানুষের কাছ থেকে টাকা আদায় করেন। একবার “ভারন” নিতে গেলে তিনি নিজেই স্বীকার করেন, ৬০০ টাকার মধ্যে তিনি ২০০ টাকা পান।
দুলালের ছেলে পর্যন্ত সাংবাদিকদের হুমকির সুরে বলেন, “এখানে বড় বড় সাংবাদিক আসছে, কেউ কিছু করতে পারেনি!” এমন স্পষ্ট চ্যালেঞ্জই প্রমাণ করে, দীর্ঘদিন ধরে তারা প্রভাব খাটিয়ে আইনের চোখ ফাঁকি দিয়ে আসছে।
অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয় হলো, দুলাল ইসলাম ধর্মের মৌলিক বিশ্বাসকে উপহাস করে শেরেকি কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে, এমনকি আল্লাহ, রাসুল ও নবীদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কটুক্তি করছে, যা বাংলাদেশের ধর্মীয় মূল্যবোধকে চরমভাবে অপমান করে।
এমন প্রতারক ও ধর্ম অবমাননাকারী ব্যক্তির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। প্রশাসনের কাছে জোর দাবি, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে এই ভণ্ড চক্রের মূলোৎপাটন করুন, যাতে সাধারণ মানুষ প্রতারিত না হয় এবং সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পায়।