
ইমদাদুল হক, মণিরামপুর:
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখ সারির ব্যক্তিত্ব ও জয়পুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির নবনির্বাচিত সভাপতি শিক্ষক ফারুক আল মাহমুদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক’ মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে মণিরামপুরের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
গতকাল ১৪ মে, বুধবার বিকেলে যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কের মণিরামপুর পৌরসভা গেটে অনুষ্ঠিত এ প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নেয় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শতাধিক শিক্ষার্থী। উপস্থিত ছিলেন হাসাইন ইকবাল সানি, শরিফ মাহমুদ, নাসিমুল বারী সাইমুম, তাসনিম হাসান বর্ষা, রেজোয়ান, নুসরাত, মিষ্টি সাকিব, দিপ্তসহ আরও অনেকে।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, একজন সম্মানিত শিক্ষক ও সমাজকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের অত্যন্ত দুঃখজনক। এটি শিক্ষক সমাজ ও শিক্ষার্থীদের জন্য অবমাননাকর এবং হতাশাজনক। আমরা এই মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানাই। অন্যথায় ছাত্রসমাজ কঠোর কর্মসূচি নিতে বাধ্য হবে।
ঘটনার পেছনের প্রেক্ষাপটে জানা যায়, চলতি মাসের ৫ মে শিক্ষক ফারুক আল মাহমুদ জয়পুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন।
এ ঘটনার জেরে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থী ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে আক্রমণের উদ্দেশ্যে জয়পুর বাজারে উপস্থিত হন। কিন্তু ফারুক আল মাহমুদ সেখানে অনুপস্থিত থাকায়, প্রতিপক্ষের মধ্যেই বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে একজন আহত হন এবং তার স্বজনেরা এসে অপর পক্ষের একজন আক্তার হোসেনকে মারধর করেন। পরে আহত আক্তার হোসেনকে যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনার জের ধরে আক্তার হোসেনের ভাগ্নে মো. রিয়াদ হোসেন বাদী হয়ে সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তবে স্থানীয়দের দাবি, অভিযুক্তদের বেশিরভাগই ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না। অভিযোগ রয়েছে, মামলার বাদী রিয়াদ হোসেন নিজেকে ‘ছাত্র সমন্বয়ক’ পরিচয় দিয়ে সংশ্লিষ্টদের ওপর মামলা করার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, একজন শিক্ষককে হয়রানিমূলক মামলায় জড়িয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে নেতিবাচক বার্তা দেওয়া হচ্ছে। প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে তারা ফারুক আল মাহমুদের পাশে থাকার দৃঢ় অঙ্গীকার ঘোষণা করেন এবং অবিলম্বে এই মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান।