
মোঃ ওয়াজেদ আলী, স্টাফ রিপোর্টার:
যশোরের মণিরামপুরে মালয়েশিয়ায় চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে এক প্রবাসী স্বামী ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অন্তত ৫ থেকে ৬ জন ভুক্তভোগীর কাছ থেকে মোট ১৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মণিরামপুর উপজেলার হরিহরনগর ইউনিয়নের পূর্বপাড়া গ্রামের আব্দুল সাত্তারের ছেলে মেহেদী হাসান মালয়েশিয়ায় কর্মরত অবস্থায় পরিচিত হন একই ইউনিয়নের ভোজগাতী এলাকার জামজামি গ্রামের জামাল হোসেনের সঙ্গে। পরে তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে এবং মেহেদী হাসান মালয়েশিয়ায় লোক পাঠানোর প্রস্তাব দেন জামাল হোসেনকে।
২০২২-২৩ সালে জামাল হোসেন তার ছেলে শামিম হোসেন ও খালাতো ভাই শাহিনুর রহমানকে মেহেদী হাসানের মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় পাঠাতে চান। এরপর মেহেদী দেশে এলে মৌখিক চুক্তিতে ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে ভিসার কথা বলা হয়। শামিম হোসেন ৫০ হাজার টাকা নগদ ও পাসপোর্ট তুলে দেন মেহেদীর হাতে এবং তার স্ত্রী স্বর্ণা আক্তার মনির ব্যাংক অ্যাকাউন্টে দুই দফায় আরও ২ লাখ টাকা পাঠান।
এভাবেই প্রতারক মেহেদী হাসান তার ভাইপো রাকিবসহ আরও কয়েকজনের কাছ থেকে একই কায়দায় টাকা নেন। আব্দুল মতিন, আলমগীর হোসেন, শফিউরসহ প্রায় ছয়জন ভুক্তভোগী জানায়, প্রতারক মেহেদী ভিসা নিশ্চিত হয়েছে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ১৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকা নিয়ে মালয়েশিয়ায় পালিয়ে যান।
সম্প্রতি তার দেশে ফেরার সংবাদ শুনে ভুক্তভোগী শামিম হোসেন মেহেদীর বাড়িতে গেলে তার স্ত্রী স্বর্ণা আক্তার টাকা ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। একপর্যায়ে শামিম টাকা ফেরত চাইলে তাকে খুন-গুমের হুমকি দেওয়া হয়।
শেষমেশ শামিম হোসেন গত শুক্রবার মণিরামপুর থানায় প্রতারক মেহেদী হাসান ও তার স্ত্রী স্বর্ণা আক্তার মনির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তবে এখনও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে জানান তিনি।
ভুক্তভোগীদের দাবি, এই ধরনের দালালদের কারণে হাজারো পরিবার সর্বস্বান্ত