খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:
পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদযাপিত হতে যাচ্ছে "বৈসু, সাংগ্রাই, বিজু, বিষু, বিহু, সাংলান, পাতা, সাংক্রাই, সাংগ্রাইং, চাংক্রান এবং বাংলা নববর্ষ উৎসব"। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং খাগড়াছড়ি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে আগামী ৪ এপ্রিল থেকে ৭ এপ্রিল ২০২৫ পর্যন্ত চার দিনব্যাপী নানা আয়োজনের মাধ্যমে এই উৎসব পালিত হবে।
এই উৎসব উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। ৪ এপ্রিল সকাল ১০টায় শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে উৎসবের সূচনা হবে। একই দিন বিকাল ৩টায় উদ্বোধন করা হবে বৈচিত্র্যপূর্ণ মেলা, যেখানে চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী কোমড় তাঁত শিল্পের প্রদর্শনী থাকবে। সাড়ে ৩টায় বাঁশের বুনন হস্তশিল্প প্রতিযোগিতা, পানি খেলা এবং গরিয়া নৃত্য প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে পাজন রান্নার প্রতিযোগিতা এবং আলোচনা সভা। সন্ধ্যা ৫টায় শুরু হবে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
৫ এপ্রিল সকাল ১০টায় বৈসু, সাংগ্রাই, বিজু নিয়ে রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য। বিকাল ৩টায় থাকবে উৎসব বিষয়ক আলোচনা সভা এবং বিকাল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ির স্থানীয় শিল্পীদের অংশগ্রহণে হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
৬ এপ্রিল বিকাল ৩টায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে, এরপর বিকাল সাড়ে ৪টায় চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী পোশাক প্রদর্শনী আয়োজন করা হয়েছে। বিকেল ৫টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
৭ এপ্রিল বিকাল ৩টায় আলোচনা সভা এবং পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে জনপ্রিয় শিল্পীদের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উৎসবের সমাপ্তি ঘোষণা করা হবে।
খাগড়াছড়ি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের পরিচালক ঞোহ্লা মং জানিয়েছেন, পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী এই বৃহৎ সামাজিক উৎসবকে ঘিরে ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে চার দিনব্যাপী মিলনমেলার আয়োজন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সংস্কৃতি কর্মীরা প্রতিদিন মহড়ায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। নাচ, গান, বাদ্যযন্ত্রের চূড়ান্ত প্রস্তুতি চলছে।
উৎসবটি সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে এবং এতে সবাইকে অংশ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।