
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে ধর্ষণ ও ভারতের যৌন পল্লিতে নারী পাচার কারী জহুরুল এর সংবাদ প্রকাশ করায় সন্ত্রাসী কায়দায় হত্যার উদ্যেশে রেজাউল সাংবাদিক কে হামলা করেছে।
আওয়ামীলীগের দোসর রুবেল সাংবাদিক গং,
এবিষয়ে বাংলাদেশ প্রেসক্লাব বেলকুচি শাখার আহবায়ক সাংবাদিক রেজাউল করিম জানান, ১১ই মার্চ মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় ঢাকা ব্যাংকের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই সরকার এর দেওয়া কৃষকদের মাঝে সৌরবিদ্যুত পাওয়ার নলকুপ উদ্বোধন অনুষ্ঠানের নিউজ কভার করার জন্য দাওয়াত দেয় রাতুল ভূইয়া, উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফিয়া সুলতানা কেয়া, সেই প্রগ্রামের নিউজ কভার করার জন্য সেখানে যাই, অনুষ্ঠান শেষে ইউএনও মহদয় চলে আসেন তার সাথে আমরাও চলে আসি।
এমতাবস্থায় পেছন থেকে রুবেল আমাকে ডাক দিয়ে বলে, এই রেজাউল এদিকে আয় এই বলে শার্টের কলার ধরে টেনে হিঁচড়ে ফাকে নিয়ে গিয়ে বলে তুই জহুরুল এর বিরুদ্ধে নারী পাচার কারীর নিউজ করছোস কেন? তখন আমি বলেছি পাচার কৃত মেয়ে মারুফার মা ফাতেমা খাতুন আমাদের কাছে অভিযোগ করেছে আর জহুরুল যে পাচার করেছে তার প্রমাণও মিলেছে তার বিরুদ্ধে মামলার ওয়ারেন্ট হয়েছে সে এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছে তাই নিউজ করেছি, আর আমি রোযা রয়েছি তাই এখন
এ বিষয়ে তর্ক করতে চাচ্ছি না যদি কিছু বলার থাকে তাহলে আমরা উপজেলায় গিয়ে বসে আলোচনা করবো, তখন রুবেল বলে জহুরুল নারী পাচার করেছে সেটা জহুরুল বুঝবে আর প্রশাসন বুঝবে আমি সেটা দেখবো তুই নিউজ করলি কেন? তোর বিরুদ্ধে এখন মান হানি মামলা করবো এই বলে আমার কাছে ৫ লক্ষ্য টাকা চাঁদা দাবি করে আমি দিতে অস্বীকার করলে রুবেল তখন ক্ষিপ্ত হয়ে হুকুম দিয়ে বলে এই সালাকে জানে মেরে নলকূপের ভিতর মাটি চাপা দিয়ে দে, এই বলে রুবেল, উজ্জ্বল অধিকারী, সবুজ সরকার সহ আরও অজ্ঞাত কয়েকজন আমাকে কিল ঘুষি লাথি মারতে শুরু করে, অনুষ্ঠানে দুই সাইটে ভাটাম গেড়ে লাল ফিতা বাধা হয়েছিল কাটার জন্য সেই ভাটাম রুবেল একটা হাতে নেয় আর একটা উজ্জ্বল অধিকারী হাতে নিয়ে প্রথমে রুবেল ডান হাতে আঘাত করে সেই আঘাতে হাত ভেঙে যায়, পরে উজ্জ্বল অধিকারী ভাটাম দিয়ে মাথায় আঘাত করে, তারপর পিঠে কোমড়ে শরিরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে, আমার অবস্থা আশঙ্কা জনক দেখে সবুজ সরকার বলে আর মারিস না মরে যাবে তখন আমি মাথা ঘুড়িয়ে পরে যাই, তখন রাতুল ভূইয়া আমাকে নিয়ে এক বাড়ীতে গিয়ে পানি ঢেলে সুস্থ করে সেখানে গিয়েও রুবেল আমাকে বারবার কিল ঘুষি লাথি মারে তারপর আমার অবস্থা খারাপ দেখে রাতুল ভূইয়া আমাকে বেলকুচি সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
খবর পেয়ে উপজেলার বিভিন্ন সমাজ সেবক ও বিএনপির নেতাকর্মী ও আমার সাংবাদিক সহকর্মী সবাই সেখানে দেখতে আসে, পরে বেলকুচি থানা পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়ে তদন্ত করেন।
বারবার ভমি করায় অবস্থা আশঙ্কা জনক দেখে সেখান থেকে রেফার করে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়, সেখানে শরিরের বিভিন্ন স্থানে চেকআপ পরিক্ষা নীরিক্ষা করা হয়, ডান হাত এক্সরে করা হয়, সেখানে ১১ মার্চ থেকে ১৩ মার্চ পর্যন্ত চিকিৎসা নেই।
এবিষয়ে সাংবাদিক রেজাউল করিম সিরাজগঞ্জ কোর্টে দ্রুত আইনে রুবেল কে ১ নাম্বার আসামি করে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাত ৪-৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছে বলে জানা যায়।
এবিষয়ে বেলকুচি থানা অফিসার ইনচার্জ জাকেরিয়া হোসেন এর নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, ১১ই মার্চ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় খবর পেলাম রুবেল সাংবাদিক গং, সাংবাদিক রেজাউল করিম কে একটি পাওয়ার নলকূপ উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে তাকে ডেকে নিয়ে মারপিট করেছে, তখনই আমি হাসপালে তদন্ত করার জন্য পুলিশ পাঠিয়েছি, এঘটনায় কোর্টে একটি মামলা হয়েছে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।