পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে সড়ক-মহাসড়কের শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিশেষ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ। এই কর্মসূচির আওতায় প্রতিদিন রাতের বেলা মহাসড়ক ও পার্শ্বসড়কে টহল জোরদার করা হয়েছে, যাতে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী যানবাহন নিরাপদে চলাচল করতে পারে। রমজানের প্রথম দিন থেকে শুরু হওয়া এ নিরাপত্তা কার্যক্রম চলবে ঈদ-উল-ফিতরের পরবর্তী সময় পর্যন্ত।
বিশেষ করে কোটচাঁদপুর রোডে নিরাপত্তা চৌকি বসিয়ে সীমান্ত এলাকা থেকে ঢাকা ও অন্যান্য দূরপাল্লার গন্তব্যে যাওয়া যাত্রীবাহী যানবাহনে নিয়মিত তল্লাশি চালানো হচ্ছে। সন্দেহভাজন যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং নিরাপত্তার স্বার্থে যাত্রীদের ভিডিও ফুটেজ সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এছাড়া, ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের ছালাভরা থেকে বারোবাজার ও গান্না বাজার পর্যন্ত সড়কে রাতের যাত্রীদের নিরাপত্তায় কাজ করছে পুলিশ।
এ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহিদুল ইসলাম হাওলাদারের নেতৃত্বে। দর্শনা ডিলাক্স পরিবহনের চালক আব্দুস সালাম জানান, পুলিশের এই বিশেষ নিরাপত্তা কার্যক্রমের ফলে তারা অনেক বেশি স্বস্তি পাচ্ছেন। সাধারণত ঈদের সময় ডাকাত, ছিনতাইকারী ও মলম পার্টির দৌরাত্ম্য বেড়ে যায়। কিন্তু পুলিশের তৎপরতায় তারা এখন নিরাপদে চলাচল করতে পারছেন। তিনি মনে করেন, পুলিশ যদি এভাবেই কাজ করে, তাহলে রাতের বেলা রাস্তায় ডাকাতির শিকার হওয়ার আশঙ্কা কমে যাবে।
কালীগঞ্জ থানার এসআই রানা প্রতাপ জানান, রমজান মাসে সড়কে নিরাপত্তা জোরদারের অংশ হিসেবে পেট্রোল ডিউটি ও মোবাইল ডিউটি বাড়ানো হয়েছে। অপরাধীদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে থানা পুলিশ নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে। অন্যদিকে, থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহিদুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, ঝিনাইদহ জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনজুর মোরশেদ (বিপিএম সেবা) মহোদয়ের নির্দেশে এ বিশেষ নিরাপত্তা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। রমজানে যাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, যার ফলে থানার চারটি দল সার্বক্ষণিক কাজ করছে এবং তিনি নিজে সবকিছু তদারকি করছেন।
পুলিশের পক্ষ থেকে যাত্রীদের মলম পার্টি, ছিনতাই ও ডাকাতির বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। এছাড়া, ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ সর্বোচ্চ প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।