
হুমায়ুন কবির, কালীগঞ্জ, ঝিনাইদহ:
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার মালিয়াট ইউনিয়নের রাড়ীপাড়া গ্রামে মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় এহিয়ার রহমান নামে এক সাবেক সেনা সদস্যকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে স্থানীয় মাদকসেবীরা।
রবিবার (২ মার্চ) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। আহতের পরিবারের পক্ষ থেকে ওইদিন রাতেই ছয়জনকে আসামি করে কালীগঞ্জ থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করা হয়েছে।
এজহারে উল্লেখ করা হয়েছে, রবিবার দুপুরে এহিয়ার রহমানের চাচাতো ভাই সিরাজুল ইসলাম নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে অভিযুক্তরা তার পথরোধ করে গালিগালাজ শুরু করে। পরিস্থিতি বুঝতে পেরে এহিয়ার রহমান সেখানে গিয়ে তাদের থামানোর চেষ্টা করেন এবং সিরাজুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ির দিকে রওনা দেন। এ সময় অভিযুক্তরা পেছন থেকে দেশীয় অস্ত্র, রামদা, হাতুড়ি, চাপাতি ও লোহার রড দিয়ে এহিয়ার রহমানের ওপর হামলা চালায়। এতে তার মাথায় গুরুতর জখম হয়।
স্থানীয়রা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে যশোর সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়, যেখানে তিনি বর্তমানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আহতের পরিবারের দায়ের করা মামলায় ছয়জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তারা হলেন মৃত তমেজ আলীর ছেলে মো. মাসুম, বাবর আলী মণ্ডলের ছেলে আমির আলী, মিন্টুর ছেলে রিফাত হোসেন, আমির আলীর স্ত্রী মোছা. মঞ্জুরা বেগম, মিন্টুর স্ত্রী রিনা বেগম এবং তমেজ আলীর স্ত্রী সমত্ত্বভান।
প্রধান আসামি মাসুম মোবাইল ফোনে জানান, তাদের সঙ্গে আহতের পূর্ববর্তী পারিবারিক দ্বন্দ্ব ছিল। সেদিন কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে এহিয়ার রহমান উত্তেজিত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন, যা পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তোলে। তবে তিনি হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন বলে দাবি করেন।
কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহিদুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, সাবেক সেনা সদস্যকে মারধরের ঘটনায় থানায় মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে মামলার ২ নম্বর আসামি আমির আলীকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।