নড়াইল সদর উপজেলার কলোড়া ইউনিয়নের খলিশাখালি গ্রামের চাঞ্চল্যকর উন্নতি পাঠক হত্যা মামলায় একই গ্রামের রবিন বালার ছেলে বাবুল বালাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও দাশ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয়মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
৮ জানুয়ারি (বুধবার) দুপুরে নড়াইল অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জর্জের দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মোহাম্মাদ শাহজাহান আলী এ রায় ঘোষণা করেন।
নড়াইল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট জিয়াউর রহমান সাংবাদিক দের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২০১০ সালের ৯ ফেব্রুয়ারী রাতে নড়াইল সদর উপজেলার কলোড়া ইউনিয়নের উত্তর খলিশাখালি গ্রামে বাড়ির পাশে পূজা শেষে উন্নতি পাঠক ও তার সাথে থাকা দীপ্তি বালা একই গ্রামের তুতু রাণীকে তার বাড়িতে এগিয়ে দিয়ে আসার পথে বাবুল বালা ও অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন অতর্কিত উন্নতি পাঠককের উপর হামলা চালায়।
এসময় সঙ্গীয় দীপ্তি বালা বাধা দিলে আসামী দীপ্তিকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাড়িয়ে দেয়। পরে দীপ্তি বালা বাড়িতে গিয়ে উন্নতি পাঠকের মা কে জানায়। পরে উন্নতির বাবা সুজয়, তার মা অঞ্জলী পাঠক, দ্রুত টর্চ লাইট জ্বালিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাজা রক্ত দেখেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন জায়গায় খোজাখুজি করে তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।
পরদিন পার্শ্ববর্তী নদীর কুলে রক্ত এবং মানুষের পায়ের দাগ দেখেন। এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, সম্ভব্য সকল স্থানে খোজাখুজি করে উন্নতি পাঠককে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
পরিকল্পিতভাবে অভিন্ন উদ্দেশ্যে তাকে অপহরণ করে হত্যার পর তার লাশ গোবরার খাল নামক নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছে। এ ঘটনায় ওই বছরের ১১ ফেব্রুয়ারী নড়াইল সদর থানায় উন্নতি পাঠকের দাদা কালিপদ পাঠক মামলা করেন।
পরে উন্নতি পাঠকের মরদেহ নদী থেকে উদ্ধার করা হয়। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়ায় ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ৮ জানুয়ারি বুধবার এ রায়ের ধার্য দিনে আদালত বাবুল বালাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও জরিমানা রায় ঘোষণা করে।